নিজস্ব প্রতিবেদন: চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট- সবার কাছে যা পরিচিত হাজরা চিত্তরঞ্জন হাসপাতাল নামে। জি চব্বিশ ঘণ্টার দফতরে অভিযোগ আসে, এই হাজরা চিত্তরঞ্জন হাসপাতালের ঘরেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বেসরকারি দোকান। অন্তর্তদন্ত শুরু করি আমরা। উঠে আসে একগুচ্ছ দৃশ্য। আসুন একবার নজর রাখা যাক। দেখুন প্রথম ছবি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



দেখলেন তো কীভাবে সরকারি হাসপাতালে চলছে বেসরকারি ওষুধের দোকানের কারবার। এবার দেখুন কীভাবে নার্সের উপস্থিতিতেই নেওয়া হচ্ছে কেমোর অর্ডার। দেখুন তিন নম্বর ছবি। ফোন পেয়েই কেমন কেমো নিয়ে হাসপাতালে হাজির হয়ে যাচ্ছেন বেসরকারি ওষুধের দোকানের কর্মী।


আরও পড়ুন: মায়ের সঙ্গে পাড়ার ‘কাকু’কে এক বিছানায় দেখে ফেলেছিল সাত বছরের ছেলে! পরিণতি...


সরকারি হাসপাতাল- সেখানে বিনামূল্যে কেমো দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান। আর সেখানেই রমরমিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বেসরকারি দোকানের কর্মীরা। আর সেই ফাঁদে পা দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কেন?


কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাষ্ট্রীয় আরোগ্য নিধি যোজনা। সেই প্রকল্পে দুঃস্থ মানুষজনকে বিনা পয়সায় কেমো দেওয়ার কথা। তবে সরকারি সেই প্রকল্পকে বাইপাস করেই হাসপাতালের ঘরেই মাথা চাড়া দিয়েছে বেসরকারি দোকান। হাজরা চিত্তরঞ্জনের দোতলার একশো পঁচিশ নম্বর ঘরে হাজির হয়েছিলাম আমরা। কথা হল এক ওষুধের দোকানের কর্মীর সঙ্গে। তিনি যা বললেন, তা আরও চাঞ্চল্যকর।


আরও পড়ুন: দেহ চুল্লিতে ঢোকানো হচ্ছিল, আচমকাই বেজে উঠল শ্মশান কর্মীর ফোন!


১২৫ নম্বর ঘরের চেহারাটা আরও ভয়ঙ্কর। সরকারি ঘরেই বেসরকারি দোকান। ওষুধ পত্র দেওয়া নেওয়া তো চলছেই। নার্স আর বেসরকারি ওষুধের দোকানকর্মীদের সহাবস্থানও এই ঘরেই। এই ঘরেই রোগীদের অ্যাটেন্ড করছেন নার্স এবং ওষুধের দোকানকর্মীরা।


ক্যামেরার সামনে পড়ে মূল অভিযুক্ত অবশ্য একেবারে থতমত। আমাদের প্রতিনিধির কোনও প্রশ্নের উত্তর ছিল না তাঁর কাছে। শেষ পর্যন্ত ক্যামেরা এড়াতে একেবারে চম্পট। পালিয়ে ঢুকে পড়লেন দোকানের মধ্যে।


হাসপাতালের মধ্যে বেসরকারি ওষুধের দোকানের ফলাও কারবারের অভিযোগ কার্যত মেনে নিয়েছেন হাসপাতালের ডিরেক্টর। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।