ওয়েব ডেস্ক: কারগিল যুদ্ধের শহিদের আবক্ষ মূর্তিতে জুটল না একটা মালাও। কারগিল যুদ্ধে শহিদ ক্যাপ্টেন কণাদ ভট্টাচার্য। টালাপার্কের পাশে রয়েছে তাঁর মূর্তিও। কিন্তু গোটা দেশ জুড়ে কারগিল দিবস পালন করা হলেও ব্রাত্যই রয়ে গেলেন এই শহিদ। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে ভুলে গেল সরকারও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কার্গিল যুদ্ধ। দেশ বাঁচানোর মরণপন লড়াই। দ্রাস সেক্টরে বেশ কিছুটা ঢুকে পড়েছিল পাকিস্তানি ফৌজ। ভারতীয় সেনা বাহিনী সিদ্ধান্ত নেয় রাতের অন্ধকারেই প্রতিরোধ করা হবে। প্রায় সাড়ে ৫ ঘন্টার মরণপন লড়াই। নেতৃত্বে আরও অনেকের সঙ্গে কণাদ ভট্টাচার্যও। ক্যাম্পে ফেরার পথে বুলেট এসে লাগে তাঁর বুকে। বেসক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার আগেই সব শেষ। 


ছোটবেলা থেকেই দারুণ ছটফটে ছিল ছেলেটা। ফুটবল খেলত। ক্যারাটে শিখত। টালাপার্কে ছোট্ট একটা বাড়ি। দুই বোন আর বাবা-মা। বাইশ বছরেই যোগ দেয় সেনাবাহিনীতে। দ্রুত উথ্থান। বছরে একবার বাড়ি আসতেন। সেবারও বাড়ি ফেরার ছুটিও মঞ্জুর হয়ে গেছিল। হঠাত্‍ ডাক। ছুটতে হয় কারগিলে। তারপর এক বুলেটে সব শেষ...


মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছিল কলকাতায়। তৈরি হয় আবক্ষ মূর্তি। কিছুদিন নেতাদের দৌড়ঝাঁপ। আর এখন? রাজ্যের তরফে একটা মালাও দেওয়া হয়না শহিদের গলায়। ক্লাবের তরফে তাও জন্মদিনটা পালন করা হয়। কিন্তু কেন রাজ্য সরকার কারগিলের শহিদের প্রতি এতটা উদাসিন?