অঞ্জন রায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তৃণমূলের সঙ্গে কি আপোষের পথে দিলীপ ঘোষ? দলের একাংশের মধ্যেই উঠছে এই প্রশ্ন। হাতে গরম ইস্যু পেয়ে সদ্ব্যবহার করতে ব্যর্থ হচ্ছে বঙ্গ বিজেপি। উল্টে পুরসভার সংশোধনী বিলে সমর্থন দিয়ে এসেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সূত্রের খবর, দিলীপের এই কর্মকাণ্ডে যারপরনাই ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। জুটেছে বকুনিও। 


মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর শোভন চট্টোপাধ্যায়কে মেয়রের পদও ছাড়তে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়রের পদে ববি হাকিমকে আনতে বিধানসভায় আসে পুর আইনের সংশোধনী বিল। ওই বিলের বিরোধিতা করে কক্ষত্যাগ করেন বাম-কংগ্রেস বিধায়করা। কিন্তু বিলকে সমর্থন দেন দিলীপ ঘোষ। এমনকি শোভনের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে দিলীপ বলেছিলেন, ''দলের দরজা খোলা কিন্তু জাল লাগানো আছে''। সূত্রের খবর, দিলীপ ঘোষের আগ বাড়িয়ে এহেন মন্তব্য মেনে নিতে পারেনি দলের একাংশ। দিলীপবিরোধী গোষ্ঠীই গোটা বিষয়টি জানায় দিল্লিতে। সূত্রের খবর, পুর আইন সংশোধনী বিলে শাসক দলকে সমর্থন দেওয়ায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সূত্রের খবর, দিলীপকে কড়া কথা শোনানো হয়। একইসঙ্গে সতর্ক থাকতেও বলা হয়েছে। 


কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বকুনি জোটার পরই শোভন প্রসঙ্গে একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে যান দিলীপ ঘোষ। বলেন, ''শোভন ও বৈশাখী বিজেপিতেই আসতেই পারে''। দিলীপের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ উঠছে, শাসক দলের বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যর্থ বঙ্গ বিজেপি। হাতে গরম ইস্যু পেয়েও ছেড়ে দিয়েছে বিজেপি। সূত্রের খবর, বিজেপির অন্দরে অনেকেই মনে করছেন, কেন শাসক দলের প্রতি নরম অবস্থান নিচ্ছেন রাজ্য সভাপতি। কিন্তু কেন?  
      
রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, এলপিজি কেলেঙ্কারির জেরে ইতিমধ্যেই দিলীপ ঘনিষ্ঠ নেতাকে ডেকে জেরা করেছে পুলিস। তাঁকেও ডাকা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দিলীপ ঘোষ। আর সে কারণেই বোধহয় শাসক দলকে চটানো সমীচীন মনে করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। যতটা বিরোধিতা না করলেই নয়, ততটার মধ্যেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রেখেছেন। 


আরও পড়ুন- রথ থেকে নামতে গিয়ে হোঁচট খেলেন অমিত শাহ, দেখুন ভিডিও