নিজস্ব প্রতিবেদন: সত্যিই কি হোমিওপ্যাথিতে করোনাকে মোকাবিলা করা সম্ভব? আয়ুষ মন্ত্রকের নির্দেশিকা জারির পর থেকে এই প্রশ্নই এখন জোরালো হয়ে উঠেছে চিকিত্সা মহলে। আয়ুষ মন্ত্রক বলছে, ঘরোয়া টোটকায় আগেভাগেই করোনা ভাইরাস থেকে দূরে থাকা যায়। এমনকি বেশ কিছু হোমিওপ্যাথি ওষুধও সুপারিশ করা হয়েছে। যা নিয়ে রীতিমতো বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে। অ্যালোপ্যাথি চিকিত্সকরা কী বলছেন?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কলকাতার নামী চিকিত্সক সুকুমার মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, যতটুকু জানি এখনও পর্যন্ত কোনও ভ্যাকসিন বেরয়নি। অন্য কোনও শাস্ত্রে চিকিত্সা সম্ভব কিনা আমার জানা নেই। চিনে উত্পত্তি করোনা ভাইরাসের। ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে সেখানে। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৭০ জনের। করোনা আতঙ্ক শুধু চিনে নয় কার্যত গোটা বিশ্বে তার আঁচ পড়েছে। বৃহস্পতিবার কেরলের এক পডুয়ার রক্তে নোভেল করোনা ভাইরাসের সন্ধান মেলে। ভারতে যা প্রথম করোনার থাবা বলা যেতে পারে।


ক্রিটিক্যাল মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ রাহুল জৈন জানাচ্ছেন, নোভেল করোনা ভাইরাস নিয়ে ইউনানি বা হোমিওপ্যাথি কী করবে? তার বিজ্ঞানটাই বা কী? কেন্দ্রের তরফে এমন নির্দেশিকা নিয়ে কার্যত হতবাক চিকিত্সা মহলের অধিকাংশ। আয়ুর্বেদ মন্ত্রক তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, হোমিওপ্যাথি চিকিত্সায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করা যায়। করোনা আক্রান্তের উপসর্গ সারানোর জন্য ইউনানি ওষুধ অত্যন্ত কার্যকর বলে জানানো হয়েছে। এর জন্য একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়। কী করা উচিত, কী করা উচিত নয় তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। এমন কী ওষুধ খেতে হবে, তা-ও বলা হয়েছে। কেন্দ্রের আয়ুর্বেদ মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, আরসেনিকাম অ্যালবাম ৩০ (Arsenicum album 30)   এই ভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম।


আরও পড়ুন- ভারতে করোনা ভাইরাসের প্রথম থাবা! কেরলের হাসপাতালে ভর্তি পড়ুয়া


আয়ুর্বেদ মন্ত্রকের এই নির্দেশিকায় তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। চিকিত্সাশাস্ত্রে হোমিওপ্যাথি কতটা ‘বিজ্ঞানসম্মত’ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা। কেউ কেউ পরামর্শ দেন ইউনানি মেডিসিন পড়ুয়াদের আগে মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে পড়া উচিত। করোনার মতো অত্যন্ত স্পর্শকাতর ভাইরাস মোকাবিলায় আদৌ হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা প্রযোজ্য কিনা তা এখনও প্রমাণ হয়নি। গবেষণা না করেই সরকারের তরফে এমন নির্দেশিকায় বিভ্রান্তি তৈরি হতে বলে মনে করছেন অনেকেই।