ওয়েব ডেস্ক: ফাগুনেই বৈশাখের রোদ। গরম আরও বাড়বে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। কিন্তু কেন এমন হল?  তীব্র গরম। গনগনে রোদ। এ কী ফাগুন! কেন এমন হল?  ঋতু বৈচিত্রের এই উলটপুরাণের মূলে শক্তিশালী এল নিনো। বলছেন আবহাওয়াবিদরা। গত নভেম্বর থেকেই সক্রিয় এল নিনো।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিন্তু কী এই এল নিনো?


প্রশান্ত মহাসাগরের জলের ওপরের স্তরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে সেটাকেই এল নিনো বলে। এল নিনোর প্রভাবে বাণিজ্য বায়ু দুর্বল হয়ে যায়। বাণিজ্য বায়ু দুর্বল হওয়ার ফলে উত্তর গোলার্ধ ও দক্ষিণ গোলার্ধের বাতাসের স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়। যেখানে বাতাসের গতি ব্যাহত হয়, সেখানে তাপমাত্রার অস্বাভাবিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। তা বলে ফেব্রুয়ারিতে এমন গরম! আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ফেব্রুয়ারিতে কলকাতা ও পাশ্ববর্তী এলাকায় এমন গরম আগেও পড়েছে।


২০১১-র ১৫ ফেব্রুয়ারি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


২০১২ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


২০১৩-এ ২৮ ফেব্রুয়ারি সর্বোচ্চ পারদ ছোঁয় ৩৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


২০১৪-র ৯ ফেব্রুয়ারি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


২০১৫ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


২০০৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড গড়ে। পারদ ছুঁয়েছিল ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


এরপরই ২০০৯-এর ২৫ ফেব্রুয়ারি ছিল ৩৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


২০০৬ ও ২০০৯, এ দুই সালে ফেব্রুয়ারির সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড চতুর্থ সপ্তাহে ছুঁয়েছিল।


২০১৬ সাল অর্থাত্‍ এ বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড ছুঁলো তৃতীয় সপ্তাহে।


আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, শুধু সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় নয়, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও। আবহাওয়াবিদরা অবশ্য শুধুমাত্র এল নিনোর প্রভাবকেই দায়ী করছেন না। তাঁরা বলছেন, এর জন্য জলবায়ু পরিবর্তনও দায়ী। এর থেকে মুক্তি কী আদৌ আসবে?  আদৌ কী ফাগুনে ফিরবে বসন্ত?  আবহাওয়াবিদরা বলছেন, তেমন সম্ভাবনা আর নেই। কারণ, মার্চের পর থেকেই কিছুটা হলেও প্রভাব কমবে এল নিনোর। তাতে অবশ্য স্বস্তি আসবে না। এবছর এপ্রিল-মে-র গরমও বেশ অস্বস্তির হবে বলেই মত আবহাওয়াবিদদের।