মৌমিতা চক্রবর্তী


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কোন পথে হাঁটবে কংগ্রেস? দোস্তি না কুস্তি? সিবিআই বনাম কলকাতা পুলিস- এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই কংগ্রেস হাইকমান্ড। ওয়াই চ্যানেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধরনায় নৈতিক সমর্থন জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। রবিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে পাশে থাকার বার্তা জানিয়েছেন তিনি। ২৪ ঘণ্টাও গেল না, সোমবারই উল্টো সুর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির। সোমেন মিত্রের কথায় রাজ্যে যা ঘটছে তা হিন্দি সিনেমাকেও হার মানাবে। সিবিআই ও কলকাতা পুলিস সংঘাত নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্য, “হিন্দি সিনেমা চলছে। মনে হচ্ছে চোরো কি বারাত দেখছি। কোথাও দেখেছেন সিবিআই আর পুলিস একে অপরের সঙ্গে মারপিট করছে? আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ধরনায় বসে গেলেন। রাজ্যে বিশৃঙ্খলা চলছে।”


আরও পড়ুন- কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ব, ফোনে মমতাকে বললেন রাহুল



এখন প্রশ্ন, যেখানে কংগ্রেস সভাপতি বলছেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়বেন, সমস্ত বিরোধী শক্তি এক হয়ে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাস্ত করবেন, সেখানে কেন উল্টো কথা বলছেন প্রদেশ নেতা? সোমেন মিত্রের অবশ্য যুক্তি, তাঁদের দলে গণতন্ত্র আছে, তাই তাঁরা খোলাখুলি নিজেদের মত ব্যক্ত করতে পারেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির কথায়, “হাইকমান্ড নিজেদের মতো করে রণকৌশল নিয়েছে। এটা দিল্লির ব্যাপার। রাজ্যে তৃণমূলই আমাদের আসল শত্রু।” সিপিএমও একই কথা বলছে। বাম নেতাদের কথায়, দিদি-মোদী দোস্তি রয়েছে। ব্রিগেড থেকে নজর ঘোরাতেই এই  ‘নাটক’ চলছে।  


আরও পড়ুন- ‘জঙ্গলমহলে প্রার্থী হবেন?’ কী বললেন ভারতী ঘোষ?


এদিকে আবার রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করে বসেছেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি। সব মিলিয়ে অভিমুখহীন ভাবেই এই ইস্যুতে একের পর এক মন্তব্য করছেন কংগ্রেস নেতারা।