জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সমাবর্তনের শেষ মুহূর্তে যাদবপুরের উপাচার্যকে সরিয়ে দিয়েছিলেন আচার্য সি ভি আনন্দ বোস। অভিযোগ, বিনা অনুমতিতে সমাবর্তন অনুষ্ঠান করছেন ভিসি। শেষপর্য়ন্ত রাজ্য় সরকারের হস্তক্ষেপে সমাবর্তন হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। তবে তিনি ডিগ্রি দেননি। সমাবর্তনকে ঘিরে চরম অনিশ্চতা তৈরি হয়ে যায়। এনিয়ে মুখ খুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- অপসারণ সংঘাতের মধ্যেই যাদবপুরে সমাবর্তন, মঞ্চে উপস্থিত বুদ্ধদেব


রবিবার ব্রিগ্রেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ছিল বেশ কয়েকটি সংস্থা আয়োজিত গীতা পাঠের অনুষ্ঠান। সেখানেই সাংবাদিকদের এনিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সমাবর্তন শেষ মুহূর্তে বাতিল করা খুব খারাপ হয়েছে। আমি ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে। কারও প্রতিনিধি আমি নই। আমি ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে। বাংলার মানুষ আমি। সমাবর্তন আগেই বাতিল করে দেওয়া উচিত ছিল আচার্যের। একেবারে শেষ মুহূর্তে বাতিল করা ঠিক হয়নি। কাউকে দোষ দেব না। রাজ্যপাল শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। ভিসিও শিক্ষাবিদ। এটা না হলেই ভালো হতো। আমি ছাত্রছাত্রীদের হয়ে কথা বলব। সব চাত্রছাত্রী তো আর মাকু নয়! টুকরে টুকরে গ্যাং নয়! অনেক গ্রামের গরিব মানুষের ছেলে মেয়েরা সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য তৈরি ছিলেন।


অন্যদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান নিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এটা বেআইনি সমাবর্তন। সমাবর্তন যদি আচার্যের অনুমতি বিনা হয় তাহলে তা কোনও মতেই হতে পারে না।


এদিকে, যাদবপুরে সমাবর্তন শেষে কেঁদে ফেললেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। এই পরিনাম পাওনা ছিল না। এমনটাই মত উপাচার্যের। এনিয়ে বুদ্ধদেববাবু বলেন, পড়ুয়ারা কেউ তিন বছর, কেউ ৪ বছর, কেউ ৫ বছর পড়াশোনা করেছে। তারা সারা পৃথিবীর সম্পদ। সেই সম্পদকে এক লহমায় নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা আমার ভেতরটাকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। গত চার মাস ধরে সকাল দশটায় আসতাম। রাত দশটায় ফিরতাম। এবার রেস্ট নেব। রোজ ১২ ঘণ্টা কাজ করার পর আজকের এটা আমার প্রাপ্য ছিল না।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)