জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। মঙ্গলবার সোনিয়া ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ স্পষ্ট বলেছেন কংগ্রেসের ঘর ভাঙিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। লোভ দেখানো হয়েছে বাইরনকে। সাগদিঘির মানুষের জনাদেশের সঙ্গে এটা এক ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা। গোয়া, মেঘালয় ও ত্রিপুরায় এই জিনিস আগে হয়েছে। এতে বিরোধী ঐক্য বাড়াবে না বরং বিজেপির শক্তিই বাড়বে। এনিয়ে এবার মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'বিচার কী হচ্ছে বুঝে গিয়েছি, আপনি আমার চিকিত্সার ব্যবস্থা করুন স্যার'
 
মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিকদের কথা বলার সময়ে বাইরন বিশ্বাসের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। এনিয়ে মমতা বলেন, এসব লোকাল বিষয়। লোকাল পার্টিকেই এনিয়ে জিজ্ঞাসা করুন। আমি এসব জানি না। সবটাই আমি খবরের কাগজে দেখেছি। পার্টির নানারকম সিস্টেম আছে। ব্লক লেভেলে এসব হয়। আমি এসব দেখি না। তাই ব্লক লেভেলে জিজ্ঞাসা করুন। আমাকে জিজ্ঞাসা করবেন না। 


লোকসভা ভোটের আগে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করতে আগামী ১২ জুন পাটনায় বৈঠক ডেকেছেন নীতীশ কুমার। কেজরিওয়াল, অখিলেশ-সহ বিরোধী একাধিক নেতা সেই বৈঠকে থাকবেন। এমনকি বৈঠকে থাকতে পারে কংগ্রেসও। এখন বাইরন বিশ্বাসের তৃণমূলে যোগদানের পর বিরোধী ঐক্যে কি কোনও ফাটল ধরল? এই প্রশ্নটা এখন বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে। আজ সেই প্রশ্ন তুলেও দিয়েছেন জয়রাম রমেশ। এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে মমতা বলেন, বাম-রাম-শ্যাম কখনও কুকাজ করা থেকে বিরত হয়? চিরকাল ওরা এক আছে, একই থাকবে। ওদের এক থাকতে দিন। ওরা একই মালার তিনটে ফুল। ফুল তো নয়, বাবলা গাছের কাঁটা, কুল গাছের কাঁটার কুল। ওদের একই থাকতে দিন। ওরা খারাপ ছাড়া ভালো চিন্তা করে না। ওদের নিয়ে চিন্তা করার সময় আমাদের নেই। 


কংগ্রেস তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এনিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জাতীয় স্তরে আমরা সবাই এক। কিন্তু ওদের বুঝতে হবে রাজ্যস্তরে আমাদের কিছু বাধ্য বাধকতা রয়েছে। আমরা মেঘালয় ও গোয়ায় লড়াই করেছিলাম। আর যখন রাজস্থানের লড়াই হয়, হিমাচল, গুজরাট, ছত্তীসগড়ে যখন নির্বাচন হয় তখন তে আমরা কোনও ডিসটার্ব করিনি! বরং ওদের সমর্থন করেছি। যে যা খুশি বলতে পারে। একজন কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, কিন্তু কতগুলে সিটে আমরা ওদের বিরুদ্ধ লড়াই করিনি? কয়েকটি রাজ্য আমরা লড়াই করেছি। এটা শুধু জেতার জন্য নয়,এটা ভোট পারস্টেন্টেজের জন্য। এর থেকেই আমরা জাতীয় দল হতে পারি।


উল্লেখ্য, গতকালই কংগ্রেস ছেড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন বাইরন বিশ্বাস। তাঁর দাবি, কংগ্রেসে কাজ করা যাচ্ছিল না। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের আগেই তৃণমূলের টিকিটের চেষ্টা করেছিলাম। পাইনি। দেখলাম তৃণমূলই একমাত্র প্রধান বিজেপি বিরোধী। এনিয়ে জয়রাম রমেশ আজ এক ট্যুইট করে লিখেছেন, নির্বাচনে জয়ের ৩ মাসের মধ্য়ে বায়ইরনকে লোভ দেখিয়ে দলে টেনেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সাগদিঘির মানুষের জনাদেশের সঙ্গে এটা এক ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা। গোয়া, মেঘালয় ও ত্রিপুরায় এই জিনিস আগে হয়েছে। এতে বিরোধী ঐক্য বাড়াবে না বরং বিজেপির শক্তিই বাড়বে।


জয়রাম রমেশের ওই মন্তব্যের পর মুখ খুলেছে তৃণমূল। দলের সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, গোয়া ও মধ্যপ্রদেশের বিজেপির টাকা ও তদন্ত সংস্থার চাপে কংগ্রেস নেতা গেরুয়া শিবিরে চলে গিয়েছিল। বাংলার চিত্রটা সম্পূর্ণ অন্য। কংগ্রেসের একজন বিধায়ক নিয়ে আমাদের সরকার টিকিয়ে রাখতে হবে এমন অবস্থা আমাদের নয়। অন্যদিকে, এটা স্পষ্ট আমরা মুর্শিদাবাদে গিয়ে বাইরনকে ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়াইনি। তিনি নিজে এসে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মানুষের জন্য কাজ করতে গেলে তৃণমূলের সঙ্গে থাকতে হবে। কংগ্রেসে বিজেপির বিরোধিতা করে না। বিজেপি বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেল তৃণমূল কংগ্রেসের বিকল্প নেই। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)