শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায় : স্বপ্নদীপের বাবাকে ফোন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। বৃহস্পতিবার রাতে স্বপ্নদীপের বাবাকে মুখ্য়মন্ত্রী ফোন করেন বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, বেশ কয়েক মিনিট কথা হয় দুজনের মধ্যে। স্বপ্নদীপের বাবাকে নিরপক্ষে তদন্ত ও সুবিচারের আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। দ্রুত তদন্ত করা হবে। কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না বলে স্বপ্নদীপের বাবাকে আশ্বাস দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বপ্নদীপের বাবার সঙ্গে কথা বলে কী হয়েছিল, তাঁর কাছে কী তথ্য রয়েছে, সেইসব কিছুই জানেন মুখ্যমন্ত্রী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্বপ্নদীপের বাবাও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানান, মায়ের সঙ্গে ছেলের শেষ কী কথা হয়েছিল। মাকে ভয় পাওয়ার কথা জানিয়েছিল ছেলে। বাড়ি নিয়ে যেতে বলেছিল ছেলে। কোনওভাবেই তাঁর ছেলের মৃত্যু স্বাভাবিক হতে পারে না বলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেন তিনি। ছেলেকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আশঙ্কাপ্রকাশ করেন স্বপ্নদীপের বাবা। অভিযোগের আঙুল তোলেন Ragging-এর দিকে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে সুবিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দেন।


প্রসঙ্গত, যাদবপুরের মেইন হস্টেলের A2 ব্লক যার ৩ তলার ছাদ থেকে পড়ে স্বপ্নদীপের মৃত্যু হয়েছে, সেই ব্লকেরই আরেক আবাসিক জানিয়েছেন, এক রাতে হস্টেলে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার হওয়ার কথা। যার জন্য হস্টেল ছেড়ে বেরিয়ে পর্যন্ত এসেছিল সে। তাকে প্রায় নগ্ন করে Ragging করা হয়েছিল। শুধুমাত্র অন্তর্বাস পরে তাকে বিভিন্ন ঘরে ঘুরে ঘুরে তার শরীরের বিবরণ দিতে হয়েছিল। এমনকি তার পুরুষাঙ্গেরও বিবরণ দিতে বলা হয়েছিল হস্টেলে ঢোকার প্রথম রাতেই। পরদিন-ই সে হস্টেল ছেড়ে বেরিয়ে আসে।


যাদবপুরের স্বপ্নদীপের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই এরকম চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। তদন্তে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে যে দুপুরে ক্লাস থেকে ফিরে কয়েকজনের সহপাঠীর সঙ্গে চা খেতে গিয়েছিল স্বপ্নদীপ। তারপর সেকেন্ড ফ্লোরে ৬৮ নম্বর রুমে ছিল। কিছুটা বিচলিত ছিল স্বপ্নদীপ। তা শুনে মেস কমিটির কয়েকজন ছাত্র তাঁর কাউন্সিলিং করার জন্য আসেন। পডু্য়াদের দাবি, ওই সিনিয়র ছাত্রদের সে বারবার বলতে থাকে যে, শুনেছে হোস্টেলে Ragging হয়। তাই থাকতে চায় না। 


সেখান থেকে ১০৪ নম্বর রুমেও যায়। সেখানেও তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা হয়। সেখান থেকে দৌড়ে চলে এসে ৬৫ নম্বর রুমে ঢুকে কোনওরকমে দরজা বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পড়ুয়ারা কোনওরকমে তাঁকে আটকায়। কোনওভাবে স্বপ্নদীপকে শান্ত করা যাচ্ছে না দেখে রাত ১০টা বেজে ৫ মিনিটে ডিনকে ফোন করে একজন। পরে ১১টা ৫২-তে সুপারকেও ফোন করে। কিন্তু সুপারের ফোন কানেক্ট হয়নি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করার সময় তাকে এমন কেউ কিছু বলেছিল কিনা যার জন্য সে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। কারণ, স্বপ্নদীপ ২ দিন আগে ওরিয়েন্টশন ক্লাস করেছিল স্বাভাবিকভাবেই।


আরও পড়ুন, JU Student Death: 'হস্টেলে থাকলে পাঁচিলের উপর দিয়ে হাঁটতে হবে!' যাদবপুরকাণ্ডে বিস্ফোরক ডিন



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)