পুলিসি তাণ্ডবের পর এ বার অচলাবস্থার পথে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। পাঁচ দিনের জন্য বিশ্রামে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন উপাচার্য। বৃহস্পতিবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সবকটি বাম ছাত্র সংগঠন। অধ্যাপকদের বড় অংশ ছাত্রদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন। ছাত্রদের সুরে সুর মিলিয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন তাঁরা। রাতভর পুলিসের তাণ্ডব চলল তাঁদের ওপর। প্রতিবাদে ক্লাস বয়কটের রাস্তায় ছাত্রছাত্রীরা। শুধু ক্লাস বয়কটই নয়, উপাচার্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন যাদবপুরের পড়ুয়ারা। কারণ, উপাচার্যই ক্যাম্পাসে পুলিস ডেকে আনেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খোদ উপাচার্য টের পাচ্ছেন এই মুহূর্তে তাঁর পক্ষে আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ করা সম্ভব নয়। তাই, আপাতত বিশ্রামে যাচ্ছেন তিনি। এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের চেহারায় পরিষ্কার সেখানে আর যাই হোক পড়াশোনা বা গবেষণার অবস্থা নেই। বুধবার দিনভর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক অফিস অরবিন্দ ভবনে ছিল তালা। উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার কেউই আসেননি। উপাচার্যের ইস্তফার দাবিতে সারাদিন ছাত্রছাত্রীদের মিছিল, স্লোগানে উত্তাল ছিল ক্যাম্পাস।


বুধবার সারাদিনই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও ক্লাস হয়নি। এ দিন আহত ছাত্রদের দেখতে হাসপাতালে যান যাদবপুরের অধ্যাপকরা। ভোররাত থেকে ছাত্রছাত্রীরা সহপাঠীদের মুক্তির দাবিতে যাদবপুর থানা ঘেরাও করেন।  বিকেলে এইট বি বাসস্ট্যান্ডে পথ অবরোধ করে এসএফআই। যাদবপুর থেকে গোলপার্ক পর্যন্ত মিছিল করেন  ছাত্রছাত্রীরা।  এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে কবে আবার  দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিরোপা পাওয়া যাদবপুরে পড়াশোনা শুরু হবে তার উত্তর জানা নেই কারও।