ওয়েব ডেস্ক: খবরের ভিড়ে হারিয়ে যাননি মিতা। কারণ সরব হয়েছে ফেসবুক। সহপাঠীর মৃত্যুর বিচার চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় করে ফেলেছেন তাঁর যাদবপুরের সহপাঠীরা।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পণের লোভে অত্যাচার। শ্বশুরবাড়িতে পিটিয়ে, পুড়িয়ে খুন। দেশের কোনায় কোনায় একই কাহানি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই বিষ বয়ে চলেছি আমরা। আইন করেও বন্ধ করা যায়নি বধু নির্যাতন। মিতার মৃত্যুও হয়তো হারিয়ে যেত সেই খবরের ভিড়েই। হয়নি। কারণ ফেসবুক বলল, হোক কলরব।


মিতার এই পরিণতি মেনে নেননি তাঁর সহপাঠীরা। ফের একবার কলরব যাদবপুরে। এবার ফেসবুকে। মিতার বিচার চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় করে দিলেন তাঁর সহপাঠীরা। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার স্বামী ও শ্বশুর। অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে গোটা বাংলা। মিতা এখন আর এক নির্ভয়া। তবে তাঁর উদাহরণ বিচ্ছিন্ন নয়।


আরও পড়ুন- মহিলা যাত্রীর সঙ্গে অভব্য আচরণের জন্য এক গাড়ি চালক গ্রেফতার


উনিশশো ছিয়ানব্বই সালে ধর্ষণ করে খুন করা হয় আইনের ছাত্রী প্রিয়দর্শিনী মাত্তুকে। নিম্ন আদালতে পার পেয়ে যায় প্রভাবশালী পুলিসকর্তার ছেলে। সরব হয় সংবাদমাধ্যম। শেষ পর্যন্ত উচ্চ আদালতে শাস্তি পায় অভিযুক্ত।


উনিশশো নিরানব্বই সালে গুলি করে খুন করা হয় মডেল জেসিকা লালকে। প্রভাবশালী রাজনীতিকের ছেলেকে বেকসুর খালাস দেয় নিম্ন আদালত। ফের একবার সরব হয় সংবাদমাধ্যম। উচ্চ আদালতে শাস্তি পায় অভিযুক্ত।


আরও পড়ুন- স্ত্রীকে বেনজির ব্ল্যাকমেল স্বামীর, অভিযোগ শুনে তাজ্জব পুলিস!


এবার মিতা। খবরের ভিড়ে তাঁকে হারিয়ে যেতে দেননি সহপাঠীরা। সরব হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেশকে নতুন বার্তা দিচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। প্রশাসন না পারলে আছে গণমাধ্যম। আছে সংবাদমাধ্যম। অসহায়ের ওপর অত্যাচার আর নয়। কেউ পার পাবে না। প্রতিবাদ পেয়েছে তার নতুন মাধ্যম। নতুন ভাষা।