বাজেট বক্তৃতা লাইভ, আর রাজ্যপালের ভাষণে সেন্সরশিপ? ফের তোপ ধনখড়ের
এই বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে, আমল না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, `এটা অধ্যক্ষের বিষয়।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : বাজেট বক্তৃতা ঘিরে ফের চড়ল রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের মাত্রা। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের বাজের বক্তৃতা লাইভ দেখানো হল, অথচ রাজ্যপালের ভাষণ সংবাদমাধ্যমে দেখানো হল না, এই ইস্যুকে কেন্দ্র করেই রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)।
ধনখড় টুইটারে তোপ দাগেন, সংবিধানের ১৭৬ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাজেটের আগে রাজ্যপালের ভাষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর বাজেট ভাষণ লাইভ দেখানো হলেও, রাজ্যপালের ভাষণের কোনওরকম লাইভ কভারেজ হয়নি। এমনকি মিডিয়াকে ঢুকতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। দূরে রাখা হয়েছে। রাজ্যের মানুষই এর বিচার করুক।
এখানেই শেষ নয়। ধনখড় আরও প্রশ্ন তুলেছেন, "এটা কি মেনে নেওয়া যায়? রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের প্রতি এটা কি অসহিষ্ণুতা নয়? এটা কি একধরনের সেন্সরশিপ নয়?" তিনি লিখেছেন, "আমার মনে হয় সংবাদমাধ্যম ও জনতা এটা নীরব দর্শকের মতো মেনে নেবে না।"
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিধানসভায় বাজেট পূর্ববর্তী বক্তৃা পাঠ করেন রাজ্যপাল ধনখড়। রাজ্যের তৈরি বক্তৃতা-ই কি তিনি পাঠ করবেন? নাকি নিজের বক্তব্য পাঠ করবেন? এই নিয়ে জল্পনা চলছিল বিস্তর। এমনকি রাজ্যপাল যদি নেতিবাচক কিছু বলেন, তাহলে আসনে বসে বিরোধিতা দেখানোর জন্যও ব্যান্ড, পোস্টার নিয়ে প্রস্তুত ছিলেন শাসকদলের বিধায়করা।
আরও পড়ুন, রাজ্য বাজেট ২০২০ : বাংলায় বেকারত্ব কমেছে ৪০ শতাংশ , বেকারদের জন্য 'কর্মসাথী'র ঘোষণা
আরও পড়ুন, প্রস্তুত ছিল বিরোধিতার মঞ্চ, কিন্তু শেষমেশ রাজ্যের তৈরি ভাষণই পাঠ রাজ্যপালের
কিন্তু শেষপর্যন্ত রাজ্যের তৈরি ১৬ পাতার বক্তৃতা-ই পাঠ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সংঘাতের মধ্যেও সেদিন বজায় ছিল সৌজন্যের আবহ। যার তাল কাটল আজ। অমিত মিত্রের বাজেট ভাষণ শেষ হতেই টুইটারে রাজ্যের বিরুদ্ধে ফের 'সেন্সরশিপ'-এর অভিযোগে সরব হলেন ধনখড়। যদিও এই বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে, আমল না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এটা অধ্যক্ষের বিষয়।"