নিজস্ব প্রতিবেদন: কাশ্মীরে ৫ বাঙালি শ্রমিকের হত্যার ঘটনার সঙ্গে জিয়াগঞ্জকাণ্ডকে টেনে আনলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে রাজ্যপাল বলেছেন, কাশ্মীরে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত শ্রমিকরা সকলেই মুর্শিদাবাদের। সেখানেই একটি শিক্ষক, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও সন্তানকে খুন করা হয়েছিল। ওই ঘটনাতেও প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলাম।        
     
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বলেন,''এটা অত্যন্ত নৃশংস। ওরা মানবতার শত্রু। দেশের শত্রু। আমি আরও বেশি ব্যথিত তাঁরা সকলেই মুর্শিদাবাদের। মুর্শিদাবাদেই আর একটা ঘটনা ঘটেছে। সেটাও দেখা উচিত। সেখানে শিক্ষক, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে খুন করা হয়েছিল। সেটা নিয়েও বলেছি।'' মুর্শিদাবাদের নিহত শ্রমিকদের সহযোগিতার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে আবেদন করেছেন রাজ্যপাল। বলেছেন,''হতদের পরিবারের পাশে দঁড়াতে অনুরোধ করেছি। তাঁদের সহযোগিতা করতে হবে।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কাশ্মীরে শান্তিপ্রক্রিয়ায় সন্ত্রাসবাদীরা বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করছে বলেও দাবি করেন রাজ্যপাল। তাঁর কথায়,''সরকারকে কাশ্মীরে উন্নতির জন্য শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই শান্তি প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটাতে চাইছে জঙ্গিরা। স্বাধীনতার পর কাশ্মীরে বড় বদল হবে। সেটা সময়ের অপেক্ষা।''


এদিন টুইটারে মমতা লিখেছেন, ''গতকাল একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে কাশ্মীরে। ৫ নিরাপরাধ শ্রমিককে পূর্বপরিকল্পনা করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা ব্যথিত।'' কেন্দ্রকে নিশানা করে মমতা আরও লিখেছেন,''কাশ্মীরে এখন কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নেই। আইনশৃঙ্খলা ভারত সরকারের হাতে। আমরা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই। আসল সত্যিটা বেরিয়ে আসুক, সেটাই চাই। সত্যিটা জানতে দক্ষিণবঙ্গের এডিজি সঞ্জয় সিংকে দায়িত্ব দিয়েছি।''   



মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের কুলগামে ৫ বাঙালি শ্রমিককে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় জঙ্গিরা। গুরুতর জখম হয়েছেন এক শ্রমিক। গোটা ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে মুর্শিদাবাদের ব্রাহ্মণী গ্রামকে। ওই গ্রামেই থাকেন পাঁচ নিহত।


আরও পড়ুন- নোট বাতিলের পর মোদী সরকারের নজরে সোনা, এবার দিতে হবে জরিমানা