নিজস্ব প্রতিবেদন : যাদবপুর কাণ্ডের জের। ১৫ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা চান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। একইসঙ্গে ১৩ জানুয়ারি রাজভবনে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যকে ডেকে পাঠিয়েছেন তিনি। ওই দিন বৈঠকে ডাকা হয়েছে শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকেও। যাদবপুরকাণ্ডের জন্য ঘুরিয়ে রাজ্যকেই দুষেছেন রাজ্যপাল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যাদবপুর কাণ্ডে উপাচার্যের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। পরিস্থিতি সামলাতে না পারলে পদে থাকার এক্তিয়ার নেই বলে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল। এর পাল্টা জবাব দিয়েছেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাসও। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসি বা কোর্টের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে তিনি বাধ্য। বলেন উপাচার্য।


প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালেই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসেন রাজ্যপাল। গেটেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সমর্থিত শিক্ষাকর্মী সংগঠনের সদস্যরা। কালো পতাকা দেখানো হয় রাজ্যপালকে। অন্যদিকে 'নো এনআরসি' ব্যাজ পরে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন পড়ুয়ারা। বিক্ষোভের মধ্যে গেট থেকেই উপাচার্যকে ফোন করে রাজ্যপাল। উপাচার্য তাঁকে বলেন, "সমাবর্তন অনুষ্ঠান থেকে আমাকে যেতে দিচ্ছে না তৃণমূল সমর্থিত স্টাফরা। আমি কী করব!"


আরও পড়ুন, বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে CAA-NRC বিরোধিতায় এবার উত্তরবঙ্গে পদযাত্রার ঘোষণা মমতার


এ কথায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ হন রাজ্যপাল। বলেন, "এটা একেবারেই বিশৃঙ্খলা। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।" দেড় ঘণ্টা ধরে গাড়িতেই অপেক্ষা করে শেষে ফিরে যান জগদীপ ধনখড়। মঞ্চে ফাঁকা পড়ে থাকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের জন্য নির্দিষ্ট আসন। 'আচার্য' ধনখড়কে ছাড়াই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় সমাবর্তন উৎসব।