নিজস্ব প্রতিবেদন:  “কীভাবে প্রমাণ করবেন, চালক ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটনাটি ঘটিয়েছে?’’  জাগুয়ারকাণ্ডে সরকারি আইনজীবীকে প্রশ্ন করলেন বিচারক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



জাগুয়ারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত রাঘিবের অন্তবর্তীকালীন জামিনের শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। সওয়াল জবাব চলার সময়ে বিচারক সরকারি আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, “দুর্ঘটনাটি মাঝরাতে ঘটেছে। ফাঁকা রাস্তা ছিল। দুজন ফুটপাতে ছিলেন। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। কীভাবে প্রমাণ করবেন চালক ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটনাটি ঘটিয়েছে?”



 উল্লেখ্য, জাগুয়ারকাণ্ডে ধারাবদল নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাঘিব পারভেজের আইনজীবী। আগে ৩০৪এ (অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা) ধারায় এই মামলা হওয়ার কথা ছিল, পরে তা ৩০৪ পার্ট দুই ধারায় দেওয়া হয়। সেই প্রেক্ষিতেই বিচারক সরকারি আইনজীবীকে এই প্রশ্ন করেন। প্রসঙ্গত, এই মামলায় কয়েকদিন আগেই চার্জশিট দাখিল করে পুলিস। এদিন আদালতে শুনানি চলাকালীন উপস্থিত ছিলেন রাঘীবের বাবা ও ছোটো ভাই আরসেলান পারভেজ।


নারদকাণ্ড: মির্জার গ্রেফতারির পর এবার কি CBI-এর নিশানায় মুকুল রায়? আজ হাজিরা দেওয়ার কথা


প্রসঙ্গত, গাড়ির উইন্ডস্ক্রিন ২০ইঞ্চির ভাঙা কাঁচই কিনারা করল সেক্সপিয়ার সরনি থানার জাগুয়ার কাণ্ডের রহস্য। 


গাড়ির EDR বা ইভেন্ট ডেটা রেকর্ডার ও ইনফোটেইনমেন্ট টেলিমেটিক্স-এর মাধ্যমে যে ফোন রেকর্ড পান তদন্তকারীরা সেখান থেকে আর্সালানের দাদা রাগিব পারভেজের কথা প্রথম জানা যায়। এছাড়া আরও গুরুত্বপূর্ণ,  যেহেতু চালক সিট্ বেল্ট বাঁধেননি তাই দুর্ঘটনার অভিঘাতে চালকের মাথা সজোরে ধাক্কা খায় উইন্ডস্ক্রিনের ভেতরের দিকে অংশে। সেখানে কিছুটা রক্তের দাগও মিলেছিল।আর তা থেকেই তদন্তকারীদের অনুমান ছিল, চালকের কপালে বা মাথার সামনের অংশে সিলিকন বাইট বা আঘাত থাকবে। অথচ আর্সালানের তেমন কোনও জখম দেখতে পাননি তদন্তকারীরা।  রাঘীবের ক্ষেত্রে সেই সিলিকন বাইট-এর  জখম পেয়েছিলেন। সেই সূত্র ধরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।