নিজস্ব প্রতিবেদন: লাউডন স্ট্রিটে জাগুয়ার দুর্ঘটনার তদন্তে উঠে এল নয়া তথ্য। ফরেন্সিক সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে R অর্থাৎ রেসিং মোডে চলছিল ঘাতক গাড়িটি। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, দুর্ঘটনার সময়ে গাড়ির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। লাউডন স্ট্রিটের রাস্তাতে যেখানে D অর্থাৎ ড্রাইভিং মোডেই গাড়ি চালানোর কথা সেখানে গাড়ি ছুটছিল অস্বাভাবিক গতিতে। ফলে সামনের মার্সিডিজ বেঞ্জে ধাক্কা মারে জাগুয়ারটি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই গাড়িতে ডেস্কটপ স্ক্রিন থাকে। ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে যেকোনও বাঁধা বা ট্রাফিকের আগাম সতর্কবার্তা পাওয়ার কথা সেই স্ক্রিনেই। তাহলে কি আগাম অ্যালার্মকে গুরুত্বই দেননি আরসালান পারভেজ? নাকি নেশার ঘোরেই বিপত্তি? তদন্তে ধোঁয়াশা কাটেনি এখনও। কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার পর গাড়িটি অটো লক হয়ে যাওয়ায় ডেক্সটপ স্ক্রিন থেকে এখনও কোনও তথ্য উদ্ধার করা যায়নি।


উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে গাড়িটি কেনেন আখতার পারভেজ, রেজিস্ট্রেশন ছিল আরসালান কোম্পানির নামে। দেশে ফেরার পর ছেলে আরসালান পারভেজ গাড়িটি ব্যবহার করতেন। অভিযোগ, সেদিন রাতে বার বার সিগনাল ভেঙেই বেপরোয়া গতিতে ছুটছিল গাড়িটি। আর তার জেরেই বিপত্তি। গাড়িতে অত্যাধুনিক সমস্ত প্রযুক্তি থাকা সত্ত্বেও কেন আগে থেকে সতর্ক হলেন না অভিযুক্ত? তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।


আরও পড়ুন: জাগুয়ার দুর্ঘটনায় ধৃতের ১১ দিনের পুলিসি হেফাজত, যোগ হল আরও কঠোর ২ ধারা


শুক্রবার গভীর রাতে লাউডন স্ট্রিটে তীব্র গতিতে আসা একটি জাগুয়ার ধাক্কা মারে মার্সিডিজ বেঞ্জ। মার্সিডিজ বেঞ্জটি ছিটকে গিয়ে ধাক্কা মারে একটি পুলিস কিয়স্কে। বৃষ্টির রাতে বেলাগাম গতির বলি হন কাজী মহম্মদ মইনুল আলম (৩৬) ও ফারহানা ইসলাম তানিয়া (৩০) নামে ২ বাংলাদেশি নাগরিক। দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন নামী রেস্তরাঁ চেনের মালিকের ছেলে আরসালান পারভেজ। ধৃতকে ১১ দিন অর্থাৎ ২৯ তারিখ পর্যন্ত পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত।


শনিবার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৯ (বেপরোয়া গাড়ি চালানো), ৪২৭ (সম্পত্তির ক্ষতি) এবং ৩০৪(২) (অনিচ্ছাকৃত খুন), পিডিপি অ্যাক্ট এবং অন্যটি ৩০৮ (অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টা) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।