নিজস্ব প্রতিবেদন: লাউডন স্ট্রিটে জাগুয়ার দুর্ঘটনার ধোঁয়াশা কাটছে না। তদন্ত আরও জোরদার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার, শহরে আসেন জাগুয়ার কোম্পানির বিশেষজ্ঞরা। ঘাতক জাগুয়ারটিকে দেড় ঘণ্টা ধরে পরীক্ষা করেন তাঁরা সঙ্গে ছিল ফরেন্সিক টিমও। গাড়ি থেকে ইভেন্ট ডেটা রেকর্ডারের (EDR) ডিভাইসটি খোলা হয়েছে জাগুয়ার বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে। আগামিকাল ফের পরীক্ষা চলবে। বিশ্লেষণ করা হবে EDR-এর তথ্যও। সেই তথ্য পরীক্ষার রিপোর্ট মিললেই জানা যাবে দুর্ঘটনার সময়ে ঠিক কী অবস্থায় ছিল জাগুয়ারটি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঠিক কী কী জানা যাবে সেই তথ্য বিশ্লেষণের পর, বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গাড়ির গতিবেগ কত ছিল, সিট বেল্ট বাধা ছিল কিনা, গাড়ির সমস্ত সেফটি সিস্টেম কাজ করেছিল কিনা, গাড়ির ভিতরের ডেস্কটপ স্ক্রিন কাজ করেছিল কিনা, দুর্ঘটনার সময় ব্রেকের ব্যবহার হয়েছিল কিনা, গাড়িতে গান চলছিল কিনা এই সমস্ত তথ্যই জানা যাবে। গাড়ির যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি চালকের বেপরোয়া মনোভাবের কারণেই এই দুর্ঘটনা তাও স্পষ্ট হবে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট হাতে এলেই। পুলিস সূত্রে খবর, সংগ্রহ করা সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই সেই তথ্য প্রকাশ্যে আনা হবে।



উল্লেখ্য, দুর্ঘটনার পরই গাড়ির মেকানিজম সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে সাহায্য চাওয়া হয়েছিল জাগুয়ার কোম্পানির কাছে। জানানো হয়েছিল, গাড়ির মধ্যে থাকা ইভেন্ট ডেটা রেকর্ডার যাচাই করবেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। সেই মতোই আজ গাড়িটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন তাঁরা। পাশাপাশি ঘটনার সময় গাড়ির গতিবেগ ও অন্যান্য অবস্থাও খতিয়ে দেখছে ইডিআর ফ্যাটাল স্কোয়াড।


ফরেন্সিক সূত্রে খবর, শুক্রবার অর্থাৎ দুর্ঘটনার রাতে R অর্থাৎ রেসিং মোডে চলছিল ঘাতক গাড়িটি।  দুর্ঘটনার সময়ে গাড়ির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। লাউডন স্ট্রিটের রাস্তাতে যেখানে D অর্থাৎ ড্রাইভিং মোডেই গাড়ি চালানোর কথা সেখানে গাড়ি ছুটছিল অস্বাভাবিক গতিতে। ফলে সামনের মার্সিডিজ বেঞ্জে ধাক্কা মারে জাগুয়ারটি।


মার্সিডিজ বেঞ্জটি ছিটকে গিয়ে ধাক্কা মারে একটি পুলিস কিয়স্কে। বৃষ্টির রাতে বেলাগাম গতির বলি হন কাজী মহম্মদ মইনুল আলম (৩৬) ও ফারহানা ইসলাম তানিয়া (৩০) নামে ২ বাংলাদেশি নাগরিক। দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন নামী রেস্তরাঁ চেনের মালিকের ছেলে আরসালান পারভেজ। ধৃতকে ১১ দিন অর্থাৎ ২৯ তারিখ পর্যন্ত পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেয় ব্যাঙ্কশাল আদালত।


আরও পড়ুন: বিপদের আগাম অ্যালার্মকে গুরুত্বই দেননি অভিযুক্ত? জাগুয়ার দুর্ঘটনার তদন্তে ফের নয়া তথ্য


শনিবার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৯ (বেপরোয়া গাড়ি চালানো), ৪২৭ (সম্পত্তির ক্ষতি) এবং ৩০৪(২) (অনিচ্ছাকৃত খুন), পিডিপি অ্যাক্ট এবং অন্যটি ৩০৮ (অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টা) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।


পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনার রাতেও বার বার ট্রাফিক ভেঙেই ছুটছিল গাড়িটি।  শুধু তাই নয়,  ২৮ নভেম্বর, ২০১৮  থেকে  ১২ জুলাই ২০১৯ অবধি গাড়ির নামে মোট  ৪৮ টি  মামলা দায়ের হয়েছে, পুলিসের  স্পিড রাডার গান অনুযায়ী,  এর মধ্যে ৪৩টি মামলা ওভার স্পিডের (Overspeed mv act 112)।