ওয়েব ডেস্ক: জয়প্রকাশ মজুমদারের তিনদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। তবে জয়প্রকাশের আইনজীবীর অভিযোগ, মামলাকারী আদতে পরীক্ষার্থীই ছিলেন না। একথা মেনে নিয়েছেন মামলাকারী অরূপ রতন রায় নিজেও। এছাড়াও এই মামলার একাধিক বিষয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ধৃত বিজেপি নেতার ৩ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুনানিতে সরকারি আইনজীবী বলেন, মামলা করার নামে টেট চাকরিপ্রার্থীদের থেকে সাত লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা তোলেন জয়প্রকাশ। জামিন পেলে তিনি সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। তথ্য প্রমাণ নষ্ট করে দিতে পারেন। তাঁকে ৭দিনের জন্য হেফাজতে চায় পুলিস। তবে আদালতে মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে বসেন ধৃত বিজেপি নেতার আইনজীবী। এজলাসে তিনি জানান, মেরিট লিস্টে নামই নেই প্রধান অভিযোগকারী অরূপ রতন রায়ের।


আরও পড়ুন প্রভুর জীবন বাঁচাল পোষ্য, সত্যিই মানুষের প্রিয়বন্ধু কুকুর


বিজেপি নেতার তরফে দাবি করা হয়, সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছিল। মামলার নথিতে এক অভিযোগকারীর নামও রয়েছে বলে জানান তাঁরা। জয়প্রকাশ মজুমদার সত্যিই কী সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়েরে সাহায্য করেছিলেন? সেই ধোঁয়াশা কাটেনি এজলাসে।


জামিনের পক্ষে সওয়াল করে জয়প্রকাশ মজুমদারের আইনজীবী বলেন, তাঁর মক্কেল পুলিসের ডাকে সাড়া দিয়ে হাজিরা দিয়েছিলেন। ছাড়া পেলেও তিনি পালিয়ে যাচ্ছেন না। তাঁকে তড়িঘড়ি গ্রেফতার করা হয়েছে। সওয়াল জবাব শেষে আদালত জয়প্রকাশ মজুমদারের তিন দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেয়।


আরও পড়ুন বেশিদিন বাঁচতে চান? রোজ ঝাল লাল লঙ্কা খান


চক্রান্তের অভিযোগ, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে, গ্রেফতারির পর থেকে বারবার এই অভিযোগই তুলেছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। তবে জয়প্রকাশ ইস্যুতে এখনই পথে নামছে না বিজেপি। অভিযোগ, মামলার জন্য টাকা নেওয়ার সময় কংগ্রেসে ছিলেন জয় প্রকাশ। তবে পুরনো দলও জয়প্রকাশের দায় নিচ্ছে না। বিধানভবন সূত্রের খবর, দলে থাকার সময়ও জয় প্রকাশের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ হয়। এটাকেও ব্যক্তিগত দুর্নীতি হিসাবে দেখছে প্রদেশ কংগ্রেস।