নিজস্ব প্রতিবেদন: মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে নৃশংস খুনের ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর কথায়, ''ঘটনার পর প্রশাসনের তরফে একটা বিবৃতি দেওয়া হল না। নীরবতাই বলে দিচ্ছে তদন্তের গতিপ্রকৃতি।'' রাজ্যপালের এহেন বক্তব্যকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে পাল্টা দাবি করেছে তৃণমূল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজয়া দশমীতে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কানাইগঞ্জ লেবুবাগানে একই পরিবারের ৩ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। দিনের আলোয় বাড়িতে ঢুকে খুন করা হয় স্কুল শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর স্ত্রী বিউটি মণ্ডল পাল ও তাঁর ৬ বছরের ছেলে বন্ধুঅঙ্গন পালকে। বিউটি মণ্ডল অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। বন্ধুপ্রকাশ পাল তাদের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেছে আরএসএস। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে প্রচারও শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবিরের লোকজন। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি দোষীরা। 



এদিন রাজ্যপাল উষ্মাপ্রকাশ করে বলেন,''আমার বুক ফেটে যাচ্ছে। মুর্শিদাবাদে একটা ভয়ঙ্কর খুন হয়েছে। মানবিকতাকে লজ্জায় ফেলে দিয়েছে। শিক্ষক, তাঁর স্ত্রী ও ৮ বছরের ছেলেকে খুন করা হয়েছে। কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি রাজ্য প্রশাসন। এটা খুব গুরুতর ব্যাপার। আমি প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। আবেদন করেছি, স্বচ্ছ তদন্ত করুন।'' তিনি আরও বলেন,''ভাবুন আমাদের কারও সঙ্গে ঘটনাটা ঘটলে! মানবিকতা আজ কোথায়? হিংস্র, ভয়ডরহীন হয়ে উঠেছে দুষ্কৃতীরা। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা উচিত। নীরবতাই বলে দিচ্ছে তদন্তের গতিপ্রকৃতি। এটা ঠিক নয়। আমরা মানবিকতা হারাতে পারি না।''


রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নির্বাচিত প্রতিবাদের অভিযোগ করেছে তৃণমূল। পরিষদীয় দলনেতা তাপস রায়ের কথায়,''বেছে বেছে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন রাজ্যপাল। পাঁশকুড়ার ঘটনায় কোনও কথা বললেন না। কারা ঘটনাগুলি ঘটাচ্ছে, এগুলো জানতে হবে ওনাকে।''


আরও পড়ুন- যাদবপুরকাণ্ডে বিদেশে চিকিত্‍সা বাবুলের, কলকাতায় ফ্রিতে হয়, কটাক্ষে মুছলেন পোস্ট