নিজস্ব প্রতিবেদন: শনিবার হরিদেবপুর এলাকা থেকে তিন JMB জঙ্গিকে পাকড়াও করেছে কলকাতা পুলিসের STF। তবে পলাতক আরও এক জঙ্গি সেলিম মুন্সী। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, পলাতক জঙ্গির বাড়িতেই গা ঢাকা দিয়েছিল ধৃত তিন জঙ্গির মধ্যে দু'জন। তল্লাশি চালিয়ে সেলিমের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি, জিহাদি বই। কিন্তু সেই সবের মধ্যে হাতে পাওয়া সেলিমের একটি ডায়েরিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তদন্তকারীরা। কেন?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কারণ সন্দেহজনক ওই ডায়েরির পরতে পরতে লুকিয়ে রয়েছে রহস্য। সেলিমের ডায়েরি যেন গোয়েন্দাদের কাছে সোনার ডিম পাড়া হাঁস। কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, ডায়েরির বিভিন্ন পাতায় লেখা রয়েছে অসংখ্য ফোন নম্বর। পিছনের দিকে, ডায়েরির মাঝে, কোথাও আবার পাতার নিচের দিকে- অবিন্যস্ত ভাবে লেখা রয়েছে সেই সমস্ত ফোন নম্বর। জানা গিয়েছে, ওই নম্বরগুলোর মধ্যে ৫ থেকে ৭টি ফোন নম্বর বাংলাদেশের। যাদের মধ্যে অনেকগুলোই এখন বন্ধ। কাদের নম্বর সেগুলো? তাদের সঙ্গে সেলিমের কী সম্পর্ক? খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। 


আরও পড়ুন: JMB Arrest: দেশের সুরক্ষা নিয়ে আশঙ্কা, এবার ধৃত ৩ জামাত জঙ্গিকে জেরা করতে চায় NIA


আরও পড়ুন: ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ ইস্যুতে আরও জোরাল প্রতিবাদ, শুভেন্দুর নেতৃত্বে দিল্লিতে পরিষদীয় দল!


ইতিমধ্যে সেলিম মুন্সীর ভারতীয় ফোন নম্বরও হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। বর্তমানে সেই নম্বরের কললিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত জঙ্গি সেলিম? কল রেকর্ডের সূত্রে ধরে তার খোঁজ চলছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এখন গোয়েন্দারা একপ্রকার নিশ্চিত, সীমান্ত টপকে বাংলাদেশের পালিয়েছে সেলিম। তাকে পাকড়াও করার জন্য বর্তমানে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে কলকাতা পুলিসের STF। জানা গিয়েছে, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে হরিদেবপুরের প্রত্যন্ত এলাকায় বাস করছিল এই সেলিম মুন্সী। এ রাজ্যে আসা জামাতের স্লিপার সেলের সদস্যদের আশ্রয় দেওয়া, তাদের ভুয়ো পরিচয় পত্র তৈরি করে দেওয়ার মতো কাজ করত সে। সেলিম মুন্সীকে ধরতে পারলে, তা বড় সাফল্য হবে বলেই মনে করছেন কলকাতা পুলিসের STF-এর গোয়েন্দারা।