ওয়েব ডেস্ক: উত্‍সবের মরশুমে বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল। কলকাতা পুলিসের জালে উঠল জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের ছয় জঙ্গি। তাদের মধ্যে পাঁচজনই খাগড়াগড় জঙ্গি মডিউলে মোস্ট ওয়ান্টেড। উদ্ধার হয়েছে বিস্ফোরক, ডিটোনেটর ও গুরুত্বপূর্ণ নথি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

NIA পারেনি। করে দেখাল কলকাতা পুলিস। জালে ৬ জামাতুল জঙ্গি। ধৃত খাগড়াগড়ের ৫ ওয়ান্টেড।


২০১৪-র ২রা অক্টোবর। খাগড়াগড় বিস্ফোরণে সামনে আসে এরাজ্যে জামাতুল মুজাহিদিনের বিশাল জঙ্গি মডিউল। বেশ কয়েকজন ধরা পড়ে। কিন্তু, অনেকেই অধরা ছিল। তেমনই কয়েকজন রাঘব বোয়ালকে জালে তুলল STF। অসমের কাছার থেকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয় জাহিদুল ইসলামকে। জাহিদুলের সূত্র ধরে জালে উঠেছে আরও ৫ জামাতুল মুজাহিদিন জঙ্গি। এবার একনজরে দেখে নেওয়া যাক ধৃতদের পরিচয়।


আনোয়ার হুসেন ওরফে ইনামের বাড়ি বাংলাদেশের জামালপুরে। এরাজ্যে জামাতুল মুজাহিদিনের প্রধান সে। মৌলানা ইউসুফের বাড়ি বর্ধমানের মঙ্গলকোটে। শিমুলিয়া মাদ্রাসায় জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিত ইউসুফ। এরাজ্যে সেই JMB-র সেকেন্ড ইন কমান্ড। NIA তার মাথার দাম ধার্য করেছে দশ লক্ষ টাকা। জাহিদুল শেখের বাড়ি বাংলাদেশে। JMB সর্বোচ্চ কমিটি মজলিস এ সুরার সদস্য সে। NIA মাথার দাম ধার্য করেছে দশ লক্ষ টাকা। মহম্মদ রুবেলের বাড়ি বাংলাদেশের জামালপুরে। IED বিশেষজ্ঞ সে। JMB নেতাদের এরাজ্যে ঢোকানোই ছিল তার কাজ। তার মাথার দাম এক লক্ষ টাকা। অসমের বরপেটার শহিদুল ইসলাম উত্তর পূর্বাঞ্চলে JMB-র প্রধান। বোড়ো উপজাতির সঙ্গে লড়াইয়ে JMB-র প্রধান পরিকল্পনাকারী। আবদুল কালামের বাড়ি কুলসোনায়। IED বিশেষজ্ঞ কালামের মাথার দাম তিন লক্ষ টাকা।


একসঙ্গে এতজন JMB নেতাকে জালে তুলতে পারা বড় সাফল্য। মানছেন NIA কর্তারাও। এই ধরপাকড়ে বানচাল হয়ে গেছে উত্‍সবের মরশুমে বড়সড় নাশকতার ছক। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে JMB-র সমস্ত নেতা ও কর্মীর বিস্তারিত তালিকা, বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম ও IED তৈরির বই উদ্ধার করেছে STF। উদ্ধার করা হয়েছে একটি মেমরি কার্ড এবং একটি ল্যাপটপ। দুই কেজি সাদা পাউডার এবং ডিটোনেটর উদ্ধার করা হয়েছে ধৃতদের থেকে। STF-এর দাবি, JMB নিজেদের মধ্যে যে সঙ্কেত বিনিয়ম করে সেই কোডও ভাঙতে পেরেছে তারা।