নিজস্ব প্রতিবেদন: জেএনইউ-কাণ্ডে বামপন্থী পড়ুয়াদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে এবিভিপি। তারা দাবি করেছে, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় বাধা দিয়েছিল বাম পড়ুয়ারা। ন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ইন্টারনেটও। তবে গোটা ঘটনায় প্রথম থেকে এবিভিপি-কে কাঠগড়ায় তুলেছে এসএফআই। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন,''জেএন‌ইউ এর ভিডিওতে যে পিনাকি চৌধুরীকে দেখা গেছে ডান্ডা হাতে, উনি সঙ্ঘের লোক। ওনার নাম এফ‌আইআরে আছে তো? তান্ডব কারা চালিয়েছে, দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জেএনইউ-র ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষকে মুখোশধারী দুষ্কৃতীদের নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে গেরুয়া শিবির। সেই অভিযোগ নস্যাত্ করেছেন ঐশী। উঠেছে এসএফআইয়ের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগও। সৃজন এদিন বলেন, ''অন্তর্দ্বন্দ্ব আমাদের থাকলেও কোনও নির্বোধ ঐশীকে মেরে ১৮টা সেলাই করাবে না। এটা এবিভিপি-র মত অশিক্ষিতরাই বলবে।'' সৃজনের খোঁচা, এবিভিপি এরাজ‍্যে তৈরি হয়েছে তৃণমূলের উচ্ছিষ্টদের নিয়ে। শঙ্কুদেব পন্ডারা জানবেন, এমন আশা আমরা করি না।  


জেএনইউ-তে পড়ুয়াদের উপরে দুষ্কৃতী হামলার প্রতিবাদ করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। মমতার রাজ্যে পড়ুয়াদের অবস্থার কথা তুলে ধরেছেন সৃজন। তাঁর কথায়,''মমতা বন্দোপাধ্যায় বলছেন ছাত্রদের একজোট হতে অসুবিধা নেই। কিন্তু তার আগে ধর্মতলা মোড়ে দাঁড়িয়ে  সুদীপ্ত গুপ্ত, স্বপন কোলেদের জন‍্য ওনাকে ক্ষমা চাইতে হবে। সুদীপ্তদের খুনিদের গ্রেফতার করাতে হবে ওনাকে।। কাল আমরা ধর্মঘট করব‌ই। আটকাতে এলে জবাব পাবে।''



ঐশীর উপরে আঘাতের ঘটনার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ। তাঁর কথায়, ''একজনের মাথায় রক্ত পড়েছে নাকি লাল রং দেওয়া হয়েছে, সেটা এখনও পরীক্ষা করা হয়নি। যাদবপুরে মন্ত্রীকে পেটানো হল, আমাদের নেত্রীকে মারা হল। এখানে মনে হচ্ছে বিরাট কিছু হয়েছে। ঐশী ঘোষকে মাথায় ব্যান্ডেজ বেঁধে দেখানো হচ্ছে। একাধিক ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে দুষ্কৃতীদের নেতৃত্ব দিয়েছেন ঐশী।'' ঐশী ঘোষ সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, ভিডিয়োটি ভুয়ো। 


আরও পড়ুন- মমতার আঁচলের তলায় লুকিয়ে বনধ সফল করতে চাইছে সিপিএম: দিলীপ