নিজস্ব প্রতিবেদন: ধাপার বিকল্প জোকার কাছে রসপুঞ্জ। জঞ্জালের চাপ সামাল দিতে নতুন ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। জমি, টাকার ব্যবস্থা হয়ে গেলেও বাধ সাধছে জবরদখল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রোজ বাড়ছে শহর। জঞ্জালের ভার আর বইতে পারছে না ধাপা। রাজারহাটে কেএমডিএ-এর ২০ একর জমি ও জোকার কাছে রসপুঞ্জে ১০০ বিঘা জমি নতুন ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে।


মেট্রো রেলের জন্য আরভিএনএল রসপুঞ্জের ১০০ বিঘা জমি নিতে রাজি না হওয়ায়, এই জমিতেই নতুন ধাপা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। নতুন ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জন্য প্রয়োজনীয় ঋণের অনুমোদনও দিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক।


২০১৬ সালের কেন্দ্রীয় পরিবেশ আইন বলছে, ধাপার মতো ডাম্পিং গ্রাউন্ড আর চলবে না। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তৈরি করতে হবে ল্যান্ড ফিল সাইট। ডাম্পিং গ্রাউন্ড নামটিও আর বলা যাবে না। জঞ্জাল ফেলার জায়গা এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন বাইরে থেকে দেখে বোঝাই না যায়।


আরও পড়ুন- ব্রেবোর্ন রোডের বিল্ডিং-এ ফাটল, অভিযুক্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ


রসপুঞ্জে জঞ্জাল ফেলার নতুন জায়গায় থাকবে আবর্জনা থেকে বিদ্যুত উত্‍পাদনের ব্যবস্থা। গড়ে তোলা হবে সার কারখানা। অন্য কাজে আর লাগবে না এমন জঞ্জাল নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দিতে হবে। কলকাতা শহরে এখন রোজ ৫৩৭২ টন আবর্জনা তৈরি হয়। এর মধ্যে ১৯০০ টন আবর্জনার পুনর্বব্যহার সম্ভব। যদিও, বর্তমানে মাত্র ৭০০ টন আবর্জনাকে পুনর্বব্যহারযোগ্য করে তোলার পরিকাঠামো রয়েছে। রসপুঞ্জের নতুন ধাপায় আবর্জনাকে পুনর্বব্যহারযোগ্য করে তোলার ক্ষমতা বাড়ানো হবে। এসবের ফলে নতুন ডাম্পিং গ্রাউন্ডের আয়ু দ্রুত শেষ হবে না। রসপুঞ্জে নতুন ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির জন্য চওড়া করতে হবে রাস্তা। আর সেখানেই সমস্যায় পুরসভা। কারণ, প্রস্তাবিত ডাম্পিং গ্রাউন্ডের সামনে এক থেকে দেড় কিলোমিটার জমি এখন জবর দখলকারীদের হাতে।


আরও পড়ুন- সিলিন্ডার বিস্ফোরণ! নিউ মার্কেটের দোকানে আগুন


প্রস্তাবিত নতুন ডাম্পিং গ্রাউন্ড মেয়রের বিধানসভা এলাকাতেই। তিনি নিজে পুনর্বাসনের বিষয়টি দেখছেন বলে জানিয়েছেন। সমস্যা মিটলেই শুরু হয়ে যাবে নতুন ধাপা তৈরির কাজ।