পিয়ালি মিত্র: রেশন দুর্নীতির তদন্ত নেমে বিস্ফোরক তথ্য এল ইডির হাতে। বিনা সুদে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ৯ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল বাকিবুর রহমান। এর কোনও প্রমাণ পত্রেও নেয়নি বাকিবুর। ফলে বাকিবুরের সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়র যোগাযোগের বিষয়টি আরও শক্তপোক্ত হয়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রেশন দুর্নীতির দায় প্রাক্তন আপ্ত সহায়কের? জেরায় চাঞ্চল্যকর দাবি জ্যোতিপ্রিয়ের!


শনিবার বাকিবুরকে আদালতে পেশ করে ইডি। সেখানেই বাকিবুর বা জ্য়োতিপ্রিয় সম্পর্কে নতুন তথ্য পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। আদালতে ইডির দাবি, বাকিবুর জ্যোতিপ্রিয়কে যে ৯ কোটি টাকা দিয়েছে তা ঋণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। কিন্তু সেখানে কোনও সুদ বা শর্ত দেওয়া হয়নি। ওই বিপুল টাকা পরিশোধও করা হয়নি। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দাবি, ওই ঋণদান দুর্নীতিরই একটি অংশ। রেশনের যে গম বা আটা সাধারণ মানুষের পাওয়া উচিত ছিল তা তাদের কাছে যায়নি। সেই সামগ্রী কালোবাজারি করা হতো। ওই সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার জন্যই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে টাকা দেওয়া হতো।


গত ৬ নভেম্বর যখন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে আদালতে পেশ করা হয় সেইদিন আদালতে রিমান্ড লেটারে ইডি বলে, রেশবন্টন দুর্নীতি তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে কীভাবে ধান কেনার ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে। ভুয়ো কৃষক সাজিয়ে এনে ধানের সহায়ক মূল্য হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। রেশন দুর্নীতি মামলায় আজ বাকিবুর রহমানকে আদালতে পেশ করা হয়। এদিন ধান কেনার দুর্নীতিও তুলে ধরা হয়। ভুয়ো কৃষক সাজিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে যোগসাজসেই তা করা হতো বলে দাবি করে ইডি। এনিয়ে ভবানীপুর থানায় মামলাও হয়েছে।


উল্লেখ্য, বাকিবুর রহমানের মিলে যখন তল্লাশি চালানো হয় তখন সেখান থেকে ১০৯টি স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়। ওইসব স্ট্যাম্প খাদ্য দফতর-সহ সরকারি আধিকারিকদের। আদালতে আজ ইডির দাবি, নিজের পরিচিতদের কৃষক সাজিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। সেখানেই ধানের সহায়ক মূল্যের টাকা সাইফন করা হয়।


এনিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, বাম আমলেও রেশন দুর্নীতি ছিল। ২০০৭ সালে বাঁকুড়ায় গুলি চলেছিল। সিপিএম নেতার ছেলে বাড়ির ছাদ থেকে গুলি চালিয়েছিল। তখনও বাকিবুররা ছিল। কিন্তু পালাবদলের পর যাদের বিসর্জন দেওয়ার কথা ছিল তাদের আবাহন করা হয়েছে।


অন্যদিকে, এনিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, তৃণণূল আজ যা বলছে কাল তার উল্টো কথা বলে। সুভেন্দু অধিকারীর সম্পর্ক এখন ওরা উল্টো কথা বলছে। শিশির অধিকরীর মতো ভালো লোক হয় না। এখন বলা হচ্ছে অন্য কথা। আলে ওরা চায় যেন কিছু ধরা না পড়ে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)