JU Convocation: `যাদবপুরের সমাবর্তন বেআইনি; পড়ুয়াদের সার্টিফিকেটও অবৈধ`, ফের বিস্ফোরক রাজ্যপাল
JU Convocation: সমাবর্তনের আগের দিনই উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তার পরও পরদিন পরিকল্পনা মতো হয় সমাবর্তন
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের আগের দিনই উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ফলে সমাবর্তন নিয়ে তৈরি হয়ে যায় প্রবল অনিশ্চয়তা। অভিযোগ ছিল কোনও অনুমতি ছাড়াই সামবর্তন করছেন উপাচার্য। তবে বহু জল্পনার মধ্যেই পরদিন সমাবর্তন হয় যাদবপুরে। অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বুদ্ধদেব সাউ তবে পড়ুায়াদের হাতে ডিগ্রি তুলে দেন সহ-উপাচার্য। সেই সমাবর্তনকে বেআইনি বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল। এমনটি তিনি এও বললেন পড়ুয়াদের য়ে ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে তার কোনও আইনি বৈধতা নেই।
আরও পড়ুন-অপসারণ সংঘাতের মধ্যেই যাদবপুরে সমাবর্তন, মঞ্চে উপস্থিত বুদ্ধদেব
রাজ্যপাল যেহেতু সমাবর্তনকে বেআইনি বলেছেন সেহেতু পড়ুয়াদের দেওয়ার ডিগ্রিরও কোনও আইনি বৈধতা নেই। তা যদি হয় তাহলে রাজ্যপাল কী এবার আইন পথে হাঁটবেন? রাজ্যপাল বলেন, আইনি পথে হাঁটলে পড়ুয়ারা তাদের সার্টিফিকেট নিয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই সমাবর্তনকে কোনও আইনি বৈধতা দেওয়া যায় কিনা তা তিনি দেখছেন। তা শুধুমাত্র পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে।
যাদবপুরের সমাবর্তন অনুষ্ঠানকে ঘিরে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। সমাবর্তনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের আগে কেন উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়া হল? এমন কড়া পদক্ষেপের কারণ হিসেবে রাজ্যপাল যা বলছেন সেটি হল, উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার মূল কারণ উপাচার্যকে নিয়ে তাঁর কাছে বহু অভিযোগ জমা পড়ে ছিল। তার মধ্যে প্রধান হল, অনেক ক্ষেত্রে উপাচার্য লোভী হয়ে পড়ছিলেন। এরকম কোনও মানুষ উপাচার্য হিসেব থাকবেন তা তিনি চাননি।
কী বলেছেন রাজ্যপাল? সংবাদমাধ্য়মে সি ভি আনন্দ বোস বলেন, আইন অমান্য করেই সমাবর্তন হয়েছে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের রায়কেও অমান্য করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বশাসন বড় বিষয়। কোনও পরিস্থিতিতেই এর সঙ্গে আপোস করা যায় না। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের স্বার্থ আমার কাছে সবচেয়ে বড় বিষয়। সমাবর্তন বেআইনি। এরকম সমাবর্তনকে কীভাবে আইনি মান্যতা দেওয়া যায় সেটাই আমার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী উপাচার্য না থাকলে সমাবর্তন হতে পারে না। কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট সিদ্ধান্ত নেয় সমাবর্তনের সূচনা করবেন বুদ্ধদেব সাউ। সেইমতো গত ২৪ ডিসেম্বর সমাবর্তনের দিন পতাকা তোলেন বুদ্ধদেববাবু। সমাবর্তনের সূচনাও করেন তিনি। তার পরেই তিনি ঘোষণা করেন, বাকী কাজ করবেন সহ উপাচার্য। পড়ুয়াদের যে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে সেখানে স্বাক্ষর রয়েছে বুদ্ধদেব সাউয়ের। তারিখও দেওয়া হয় ২৪ ডিসেম্বরের।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)