কলকাতা: ফের বিতর্ক যাদবপুরে। নির্যাতিতা ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগকে কার্যত নস্যাত্‍ করে দিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি। কমিটির বক্তব্য, শ্লীলতাহানির পক্ষে কোনও প্রমান পায়নি তারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ছাত্রীর সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছিল। সূত্রের খবর, রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে ছাত্রীর বক্তব্যে অসঙ্গতি রয়েছে।


যাদবপুরের মূল আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল এক ছাত্রীর নির্যাতনের অভিযোগ ঘিরে। অভিযোগ ছিল এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি হয়েছে। কি ঘটনা ঘটেছিল তা জানতে তদন্ত কমিটিকে নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয়। সূত্রের খবর, তদন্ত রিপোর্টে আদৌ ছাত্রীর শ্লীলতাহানি হয়েছিল কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। কমিটির বক্তব্য তদন্ত করতে গিয়ে এমন কোনও ঘটনার প্রমান পাওয়া যায়নি। তাদের দাবি, ছাত্রীর সঙ্গে  ধ্বস্তাধ্বস্তির ঘটনা ঘটেছিল। এমনকি ছাত্রীর বয়ানের বিভিন্ন জায়গায় অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছে তদন্তকারীরা।


রিপোর্টে শুধুমাত্র শ্লীলতাহানির অভিযোগকেই নস্যাত করা হয়নি , এমনকি যারা ঘটনা ঘটিয়েছিল তাদের শাস্তিরও সুপারিশ নেই। যে ঘটনা ঘিরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এতবড় আন্দোলন, উত্তাল রাজ্য রাজনীতি, যা উপাচার্যের পদত্যাগ পর্যন্ত গড়াল সেই ঘটনাটিকেই কার্যত অস্বীকার করছে তদন্ত কমিটি। কমিটির রিপোর্টে ক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষাবিদ।


রাজ্যপাল ইতিমধ্যেই তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়কে পদক্ষেপ নিতে বলেছে। এখন প্রশ্ন, কার বিরুদ্ধে- কী ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয়?


এনিয়ে সহ উপাচার্য জানিয়েছেন, সিদ্ধান্ত নেবে ইসি।


রাজ্যপাল বলেছেন, আই সি সি -র রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে। কিন্তু সেই রিপোর্টই মানতে নারাজ ছাত্রছাত্রীরা। সব মিলিয়ে আই সি সি -র রিপোর্ট আগামী দিনে যাদবপুরে ফের আন্দোলন গড়ে তুলবে না তো?


সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।