বিক্রম দাস: টেট মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড়। প্রভাব খাটিয়ে নম্বর বাড়িয়েছেন বেশ কিছু প্রার্থী। যে প্রার্থীরা নম্বর বাড়িয়েছেন তাঁদের গ্রেফতার নয় কেন? অভিযোগ করে প্রশ্ন তুললেন বিচারক। সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারকে প্রশ্ন বিচারকের। জবাবে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, ৬৭৭ জন প্রার্থীর তালিকা তৈরি করা হয়েছে। যাঁদের নম্বর অদল-বদল করা হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যা শুনে বিচারক পালটা জানতে চান, এদের মধ্যে কতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে? উত্তরে সিবিআইয়ের অফিসার তখন জানান যে, এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে। যা শুনে রীতিমত অবাক হন বিচারক। এতদিনে মাত্র ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ! ৬৭৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কতদিন সময় লাগবে, জানতে চান বিচারক। পাশাপাশি বিচারক সরাসরি জানতে চান, তাঁদেরকে কেন গ্রেফতার করা হল না? কারণ তাঁরাও নম্বর বাড়াতে ষড়যন্ত্র করেছে! যদিও সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয় যে, তাঁদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। কিন্তু সেই জবাবে সন্তুষ্ট নন বিচারক। অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ ও বয়ান রেকর্ড করা যেত বলে মত তাঁর। প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এদিন সিবিআই বিশেষ আদালতে পেশ করা হয় পার্থ মুখোপাধ্যায় সহ ৭ জনকে।


আরও পড়ুন, Primary TET: ২০১৭-র পর এবার ২০১৪, হাইকোর্টের নির্দেশে টেটের নম্বর প্রকাশ পর্ষদের


উল্লেখ্য, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে ফরেনসিক রিপোর্টে। রিপোর্টে উল্লেখ, এসএসসি সার্ভারে প্রাপ্ত নম্বর বদল করা হয় অকৃতকার্য প্রার্থীদের। তাঁদের মধ্যে কেউ হয়তো ১ বা কেউ হয়তো ০ পেয়েছিলেন! আদালতে সিবিআই জানায়, এসএসসি সার্ভার রুম থেকে ৩টি হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হয়েছে। সেই হার্ড ডিস্ক থেকেই উদ্ধার হয়েছে সমস্ত উত্তরপত্রের স্ক্যান করা কপি। যেখানে দেখা গিয়েছে, প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর হয়তো ছিল ১ বা ০! ফেল করেছেন! অথচ সার্ভারে ওই প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর দেখা যাচ্ছে ৫০ বা ৭০। এমনকি ফাঁকা ওএমআর শিট পর্যন্ত জমা দেওয়া হয়েছে! প্রার্থী কিছুই লেখেননি! যেখানে পরে ৫৩ নম্বর বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।'


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)