ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর জট কাটাতে বৈঠকে বসার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। নকশা পাল্টে জাংশন স্টেশন এসপ্লানেড না সেন্ট্রাল, তা নিয়েই সব পক্ষকে সিদ্ধান্তে পৌছতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। বিচারপতির প্রশ্ন, লন্ডনের পিকাডিলি সার্কাস যদি জাংশন হতে পারে,  তাহলে কেন সেন্ট্রাল স্টেশন জংশন হবে না? রাজ্য চায়, ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর জাংশন স্টেশন হোক এসপ্লানেড। তাতে পাল্টাতে হবে প্রকল্পের নকশা। এ নিয়েই বিতর্ক গড়ায় হাইকোর্টে। হাইকোর্ট সব পক্ষকে বসে সমস্যা মেটানোর কথা বলে। কিন্তু তাতেও কাটেনি জট। বৃহস্পতিবার ফের মামলা উঠলে, আদালতে মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়,


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০০৭-এ যখন প্রকল্পের পরিকল্পনা হয়, তখন ঠিক হয় প্রকল্পের খরচ রাজ্য এবং কেন্দ্র ভাগ করে নেবে। এখন ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো এসপ্লানেড দিয়ে ঘোরাতে খরচ পড়বে অতিরিক্ত ১২০০ কোটি টাকা। এছাড়া পরিকল্পনার পরিবর্তন করতে প্রথা মেনেও কেন্দ্রের অনুমতি নেয়নি রাজ্য। মেট্রোর বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়া রাজ্যের কাছে জানতে চান, কেন এসপ্লানেডকেই জংশন স্টেশন করতে চায় রাজ্য। রাজ্য জানায় শহরের কেন্দ্রস্থল হওয়ায় প্রচুর মানুষ এসপ্লানেড হয়েই  যাতায়াত করেন। তখনই বিচারপতির মন্তব্য, গত একশো বছরে লন্ডনে পিকাডিলি সার্কাস আমুল পাল্টে গিয়েছে। একদিকে মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন, কলকাতা লন্ডন হোক। নীল সাদা রঙ হচ্ছে, আলো বসেছে। কিন্তু সেটাই শেষ কথা নয়। শহরের পরিকাঠামো উন্নয়নেরও প্রয়োজন রয়েছে। এসপ্লানেড জনবহুল হলেও এখানে বাস টার্মিনাস উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাহলে সেন্ট্রালকে জংশন স্টেশন বানাতে আপত্তি কোথায়?  


তবে প্রকল্পের নকশা বদলালে, অর্থ সংস্থান কীভাবে হবে। কেন্দ্রই বা কত টাকা দেবে, তা নিয়েও জানতে চান বিচারপতি। মঙ্গলবার ফের মামলার শুনানি। সেদিন সব পক্ষকে মূল নকশা, পরিবর্তিত নকশা এবং এ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি নিয়ে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। পাশাপাশি, সমস্যা মেটাতে এর মধ্যে  সব পক্ষকে ফের বৈঠকে বসার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।