ওয়েব ডেস্ক: কাবুলের রাস্তা থেকে হারিয়ে গেছেন জুডিথ ডিসুজা। তাঁর ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়। প্রতিদিনই আফগানিস্তানের সড়ক থেকে এভাবেই উধাও হয়ে যান বহু মানুষ। হাজার হাজার বছরের ইতিহাসের সাক্ষী কাবুল হাইওয়ে আজ বধ্যভূমি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কাবুলকে কলকাতা মনে করা বোকামি। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি, কলকাতায় বসে কল্পনা করাও কঠিন। দূরপাল্লার বাসযাত্রা এদেশে অগস্ত্য যাত্রার সমতূল। তালিবান শাসনের অবসানে কিছুটা হাল ফিরেছিল। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়-দোকান-বাজার-সিনেমা হল খোলে। কিন্তু মার্কিন সেনা ঘরমুখী হতেই যে কে সেই। প্রত্যন্ত প্রদেশগুলিতে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে তালিবান। দুরুদুরু বুকে ইষ্টনাম জপ করতে করতে বাসে চড়েন যাত্রীরা।


কান্দাহার থেকে কাবুল পর্যন্ত পাহাড়ি হাইওয়ে। পৃথিবীর সুপ্রাচীন সড়কগুলির একটি। এই পথেই এসেছিলেন আলেকজান্দার। তারপর মুঘলরা। হুমায়ুনের দেশত্যাগও এই রাস্তা দিয়েই। এই সড়ক দিয়েই দেশ থেকে বিদেশে গেলেন সৈয়দ মুজতবা আলি। সৃষ্টি করলেন কালজয়ী ভ্রমণকথা। আলির পর গেলেন আরেকজন। সুভাষচন্দ্র বসু। এখন এই সড়কে ঘোরে নজরদারি ভ্যান। আর সন্ত্রাস ছড়ায় তালিবান।


স্থানীয় প্রশাসনের অবশ্য দাবি, তাঁরা নিরাপত্তার ঢালাও বন্দোবস্ত করে রেখেছেন। পুলিসকর্তার দাবি যে ডাহা মিথ্যে তা জুডিথের ঘটনাতেই পরিষ্কার। হাইওয়ে নয়, খাস কাবুল থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে গেছে দুষ্কৃতীরা।