প্রাথমিকে নিয়োগে বাধা হয়ে দাঁড়াব না, আশ্বাসবাণী বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
আগামী ১১ ডিসেম্বর টেট। এবারে রেকর্ড সংখ্যক পরীক্ষার্থী বসতে চলেছে পরীক্ষায়। প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ৯০ হাজার।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: আদালত হস্তক্ষেপ করবে না। যদি বড় কোনও অভিযোগ সামনে না আসে। স্পষ্ট জানালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। আশ্বাস দিলেন, 'প্রাথমিকে নিয়োগে বাধা হয়ে দাঁড়াব না।' একইসঙ্গে তিনি নির্দেশ দেন, কেউ যেন সুযোগ পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হয়। সেক্ষেত্রে বিচারপতির কথা মাথায় রেখে আবেদনের সময়সীমা বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেন পর্ষদের আইনজীবী। আর তা থেকেই মনে করা হচ্ছে, বাড়তে পারে প্রাথমিকে নিয়োগের আবেদনের সময়সীমা!
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যে তোলপাড় চলছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জেলে, তেমনই রয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিরা। এসবের মধ্যেই ২০২২-এর প্রাথমিক TET-এ বসার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পর্ষদ। আগামী ১১ ডিসেম্বর টেট। ২০১৭-র ৬ বছর পর হতে চলেছে টেট। টেটের মাধ্যমে প্রাথমিকের ১১ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করা হবে। এদিকে ইতিমধ্যেই, রেকর্ড সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে। গতবার এই সংখ্যাটা ছিল ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৪৪ জন। এবারে রেকর্ড সংখ্যক পরীক্ষার্থী বসতে চলেছে পরীক্ষায়। প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ৯০ হাজার।
অন্যদিকে টেটে 'অনুত্তীর্ণ' লক্ষাধিক প্রার্থীকেও এবারের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশে উল্লেখ, ২০১৪ এবং ২০১৭-র লক্ষাধিক টেট 'অনুত্তীর্ণ' প্রার্থী-ই পেতে চলেছেন এই সুযোগ। ২০১৪ ও ২০১৭, টেটে 'অনুত্তীর্ণ' এই প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার জন্য ফর্ম পূরণ করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, মামলাকারীদের দাবি ছিল, টেটে 'অনুত্তীর্ণ' এই প্রার্থীরা ১৫০-এর মধ্যে ৮২ নম্বর পেয়েছে। যার অর্থ, এরা গড়ে ৫৪.৬৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। এখন এই ৫৪.৬৭-কে ৫৫ নম্বর হিসাবে গণ্য করতে হবে (অঙ্কের নিয়মে)। আর ৫৫ পেলেই সবাই যোগ্য প্রার্থী হিসাবে মান্যতা পাবেন।
আরও পড়ুন, Dengue Death: মর্মান্তিক! কোভিডের ধাক্কা জিতলেও, ডেঙ্গিতে মৃত্যু বেলেঘাটা আইডির সহকারী সুপারের
এছাড়া, পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এও জানানো হয়েছে যে, ২০১৪ ও ২০১৭ সালে যাঁরা টেট পাস করেছেন এবং যাঁদের বয়স চল্লিশের নীচে, তাঁরাও এবার প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে একাংশ মামলাকারীর দাবি, ২০১৪ ও ২০১৭, দুবার টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাঁরা। পাস করেছেন দু'বারই। যে বছর টেটে বেশি নম্বর পেয়েছেন, সে বছরের শংসাপত্র-ই জমা দিতে চান। তাই পর্ষদের কাছে নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তাঁরা।