নিজস্ব প্রতিবেদন: কাঁকুরগাছি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই খুলে যাচ্ছে প্রতিটি জট। সোমবার কাঁকুরগাছির রামকৃষ্ণ সমাধি রোড অক্ষরা আবাসনে নিজের শাশুড়িকে গুলি করে খুন করে অমিত আগরওয়াল। এদিনই সে বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতায় এসেছিল ছেলেকে নিয়ে। আসার আগে স্ত্রী শিল্পী আগরওয়ালকেও খুন করে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-সরকারের অপেক্ষা না করে নিজেরাই ভাড়া বাড়িয়ে নিলেন ১৩টি রুটের ৬৮ বাসের মালিকরা
 
কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সোজা শ্বশুরবাড়িতে এসেছিল অমিত। এমনটাই প্রাথমিক তদন্ত মনে হয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন ছিল, তাহলে, সে পিস্তল পেল কীভাবে। বিমানবন্দর থেকে আসার পথেই কি কেউ তাকে পিস্তল দিয়েছিল? সেই রহস্যের সমাধান করে ফেলল পুলিস।


পুলিস সূত্রে খবর, বছর সাতেক আগে নয়াবাদে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন অমিতের শ্বশুর। সেই ফ্ল্যাটের চাবি অমিতের কাছেই থাকতো। মাঝেমধ্যেই ওই ফ্ল্যাটে আসতো সে। সেখানেই পিস্তল ছিল এমনটাই মনে করছে পুলিস। কাঁকুরগাছিতে শ্বশুরবাড়িতে আসার আগে নয়াবাদ থেকে ওই পিস্তলটি সে নিয়ে যায়। এক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সেটি হল, আগেই হয়তো কলকাতায় এসে ওই ফ্ল্য়াটে পিস্তাল রেখে গিয়েছিল অমিত। নয়তো কেউ এসে ওইদিন ফ্ল্যাটের বাইরে বন্দুক রেখে গিয়েছিল।


এদিকে অমিতের হিট লিস্টে ছিল শ্বশুরবাড়ির গোটা পরিবার। সোমবার হত্যালীলা চালানোর আসে সে স্ত্রী শিল্পীর ভাই বিনীত ঢনঢনিয়াকে কলকাতায় আসার জন্য বহুবার ফোন করে। বিনীত কর্মসূত্রে থাকেন গুরুগ্রামে।


আরও পড়ুন-সুরক্ষিত থাকবে ৮.৬ লাখ আমানতকারীর টাকা, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নজরদারিতে  দেশের ১৫৪০ সমবায় ব্যাঙ্ক


পুলিসের তদন্তে উঠে এসেছে, সোমবার বিকেল ৫.৫০-৬টার মধ্যে  শাশুড়িকে গুলির করার পর তিন বন্ধুকে ফোন থেকে মেইল পাঠায় অমিত।  সেখানে নিজেকে 'guilty' বলে উল্লেখ করে সে। কিন্তু খুন বা আত্মহত্যা করতে চলেছি এমন কিছুর উল্লেখ ছিল না। পুরোনো দিনের কথা লিখেছিল। ওইসব লেখা  আগেই ড্রাফট-এ  ছিল। শুধু sent করে  ৫.৫০ মিনিটে।