ওয়েব ডেস্ক: ফাঁসি চেয়েছিল কামদুনি। আড়াই বছর পর, তা পেল।  কিন্তু শুধুই তো কামদুনি না, বিচার পাওয়ার আশায় দিন গুনছে গাইঘাটা, খরজুনা, কাটোয়া, জলপাইগুড়িও। দাবি সেই একই। ফাঁসি দেওয়া হোক অভিযুক্তদের।সব অভিযুক্তেরই ফাঁসির দাবি তুলেছিল কামদুনি। সবার না হলেও, তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। বাকিদের আমৃত্যু কারাদণ্ড। দুহাজার চোদ্দর দোসরা সেপ্টেম্বর রাতে, ধূপগুড়ির কাছে রেললাইনের ধারে  উদ্ধার হয় স্কুল ছাত্রীর ক্ষতবিক্ষত-বিবস্ত্র দেহ। ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ তোলেন কিশোরীর বাবা-মা। অভিযোগে উঠে আসে তৃণমূলের ওয়ার্ড কমিটির নেতা সহ শাসকদল ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজনের নাম। এই মামলায় বিচার আজও অধরা। এদিন কামদুনির রায়ে, নতুন করে আশার আলো দেখছে নির্যাতিতার পরিবার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


চোখের জল আজও শুকোয়নি। তিন বছর পরও, না। দু হাজার তেরোর তেইশে জুন বড়ঞা থানার খরজুনায়, বাড়ি থেকে কিছুদূরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিত্যক্ত আবাসনে খুন হন এক মহিলা। অভিযোগ ওঠে ধর্ষণ করে খুনের। গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু সাজা, আজও হয়নি।
এদিন কামদুনির রায় দেখতে খরজুনাবাসীরও নজর ছিল টিভির পর্দায়।



মাত্র তেরো বছরেই চরম নৃশংসতার শিকার। সারা শরীরে গভীর ক্ষত, চোখ ওপড়ানো, কান কেটে নেওয়া। ভয়ঙ্কর সে মৃত্যু। ধর্ষণ করে খুন করা হয় গাইঘাটার এই কিশোরীকে।
দু হাজার তেরোর জুন মাস থেকে আজ পর্যন্ত, একটির পর একটি দিন গুনছে নির্যাতিতার পরিবার। দিন গুনছে গাইঘাটা।
কামদুনি বিচার পেল, তাদের পালা কবে আসবে? এখন উঠছে এ প্রশ্নটাই।   


নৃশংসতার আরেক নজির কাটোয়া গণধর্ষণ মামলা। আমোদপুর-কাটোয়া ছোট লাইন ট্রেন থেকে নামিয়ে, মেয়েদেরই সামনে গণধর্ষণ করা হয় মহিলাকে ।  উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণের অভাবে, আট অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস করে দিয়েছে আদালত।  কামদুনির রায়, নতুন করে লড়াইয়ের অক্সিজেন দিয়েছে বাকিদেরও। এখন অপেক্ষা সুবিচারের।