ওয়েব ডেস্ক: কামদুনিতে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তারা জড়িত নয়। তারা নির্দোষ। আজ আদালতে এমনই দাবি করল কামদুনি কাণ্ডে দোষী সাব্যস্তরা। এদিন সাজা ঘোষণার আগে, কামদুনির দোষীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেন বিচারক। সেখানে  দোষীরা প্রত্যেকেই বিচারকের কাছে কার্যত ক্ষমা প্রার্থনা করে। কামদুনি গণধর্ষণ ও খুন কি বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ? শনিবার এনিয়ে ঘণ্টা খানেক সওয়াল জবাব চলে দুপক্ষের আইনজীবীর মধ্যে। সওয়াল জবাব শেষে দোষীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেন বিচারক সঞ্চিতা সরকার। সুযোগ পেয়েই কান্নায় ভেঙে পড়ে  গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত শেখ ইমানুল ইসলাম।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এরপর আত্মপক্ষ সমর্থনে এগিয়ে আসে মূল অভিযুক্ত সইফুল আলি।  যার গোপন জবানবন্দি এই মামলার রায়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। সইফুলের দাবি..সইফুল আলিঃ বাচ্চা নিয়ে থাকি। হুজুর আপনি সবই জানেন। আমি ঘটনার কিচ্ছু জানি না আরেক আসামী খুনে ধারায় দোষী সাব্যস্ত আনসারের বক্তব্য।
আনসার আলিঃ আমার তিনটে বাচ্চা রয়েছে। ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। আমিই তো সিবিআই তদন্ত চেয়েছি   
 আমি নির্দোষ। ছেলে আছে বাবা মা আছে। বিনা দোষে আমি জেল খাটছি
 এরপর পালা ভোলা নস্কর ও আমিনুর ইসলামের।  ভোলা নস্করের দাবি...
ভোলা নস্করঃ আমি সংসারের একমাত্র রোজগেরে লোক। আমাকে ছেড়ে দিন হুজুর।


আমিনুর ইসলামঃ আমি কিচ্ছু জানিনা। আমাকে জোর করে ফাঁসানো হয়েছে।আমার ছেলে মেয়ে রয়েছে। বৃদ্ধ বাবা মা রয়েছে
এভাবেই আত্মপক্ষের সমর্থনের নামে দোষীরা প্রত্যেকেই বিচারকের কাছে কার্যত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। সকলের দাবি একটাই, সেদিনের ঘটনার বিন্দু বিসর্গও জানত না তারা।