ব্যুরো: আগামীকাল কামদুনি মামলায় দোষীদের শাস্তি ঘোষণা হতে পারে। আজ আদালতে শাস্তির মেয়াদ নিয়ে শুনানি হয়। আসামী পক্ষের আইনজীবী কম শাস্তির আর্জি জানালেও দোষীদের ফাঁসিই চাইছে কামদুনি। কামদুনি মামলায় ছয় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সইফুল আলি মোল্লা। খুন, গণধর্ষণ, ধর্ষণের সময় প্রাণঘাতী আঘাত, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির সাতটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সইফুল। আনসার আলি। খুন, গণধর্ষণ, ধর্ষণের সময় প্রাণঘাতী আঘাত সহ পাঁচটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত আনসার। আরেক দোষী আমিন আলির বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ প্রমাণিত।আমিনুর ইসলাম। গণধর্ষণ, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, তথ্যপ্রমাণ লোপাটে দোষী সাব্যস্ত আমিনুর। ভোলানাথ নস্কর এবং শেখ ইনামুল ইসলামও ভারতীয় দণ্ডবিধির তিনটি ধারায় দোষী প্রমাণিত হয়েছে।


বৃহস্পতিবার, ছয় অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর শাস্তির মেয়াদ নিয়ে শুনানি চান তাদের আইনজীবীরা। শুক্রবার বিকেল তিনটেয় নগর দায়রা আদালতের বিচারক সঞ্চিতা সরকারের এজলাসে আরম্ভ হয় শুনানি।


শুরুতেই আসামী পক্ষের আইনজীবী তীর্থঙ্কর ঘোষ বিচারকের কাছে রায়ের কপি চান।বিচারক জানান, সাজা ঘোষণার আগেই তিনি রায়ের কপি দিয়ে দিতে পারেন না। এরপর, আসামী পক্ষের আইনজীবী ফৌজদারি কার্যবিধির একাধিক ধারা উল্লেখ করে দাবি করেন, বিচারক চাইলে রায় পড়ে শোনাতে পারেন।


বিচারক সঞ্চিতা সরকার জানিয়ে দেন, ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম কিনা তা নিয়েই শুনানি হতে পারে। মামলার অন্যান্য প্রসঙ্গ আবার টেনে আনার দরকার নেই। একইসঙ্গে, রুদ্ধদ্বার কক্ষে আইনজীবীদের রায়ের কপি পড়ার সুযোগ দেন বিচারক। বিকেল সাড়ে তিনটে থেকে চারটে পর্যন্ত রুদ্ধদ্বার কক্ষে আইনজীবীরা রায়ের কপি পড়েন। সোয়া চারটে নাগাদ ফের শুরু হয় শুনানি। এবার আসামী পক্ষের আরেক আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন,  এত কম সময়ে রায়ের কপি দেখা সম্ভব নয়। তিনি হলফনামা দিতে চান।


বিচারক জানিয়ে দেন আর বেশি সময় দেওয়া যাবে না।এরপর, আসামী পক্ষের আইনজীবী বিভিন্ন মামলার উদাহরণ দেখিয়ে সাজার মেয়াদ কম করার আর্জি জানান। বিচারক জানিয়ে দেন, এইসব তথ্য খতিয়ে দেখতে তাঁরও কিছুটা সময় লাগবে। শনিবার বেলা এগারোটা থেকে এক ঘণ্টা ফের আসামী পক্ষের বক্তব্য শুনবেন তিনি। কামদুনি মামলার দুই আসামী বেকসুর খালাস পাওয়ায় এদিন নগর দায়রা আদালতের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর।