নিজস্ব প্রতিবেদন: শাসকের রক্তচক্ষুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে বাঙালিই। কলকাতায় এসে সুভাষচন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরদের সঙ্গে জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষকে একাসনে বসালেন কানহাইয়া কুমার। বললেন, ''বাংলায় ক্ষমতালোভীরা নাক গলালেই তারা ফেঁসে যায়।''   
  
 বিধাননগরে ইন্দ্রজিৎ গুপ্তের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আলোচনায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও নাগরিকপঞ্জি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেন সিপিআই নেতা কানহাইয়া কুমার। বলেন,''শুরু থেকে আজ পর্যন্ত দেখে নিন। বাংলার যে কোনও প্রজন্মকে দেখুন। ক্ষমতালোভীরা বাংলায় নাক গলালেই আটকে গিয়েছে।  তা সে বাংলাভাগের পরিকল্পনা হোক বা জেএনইউ-তে হামলা ইংরেজিদের চাকরদের বিরুদ্ধে প্রতিবার সরব হয়েছে বাঙালিরা। তা সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ক্ষুদিরাম বসু, সুভাষচন্দ্র বোস বা আজকের ঐশী ঘোষ।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নাগরিকপঞ্জি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে সমাজে মোদী সরকার বিভেদ তৈরি করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন কানহাইয়া কুমার। তাঁর হুঁশিয়ারি, ''আমাদের নাগরিক না মানলে আমরাও সরকার মানি না। তোমরা ইংরেজ হলে আমরা সুভাষচন্দ্র বোস হতে রাজি।'' জন্ম ও পরিচয়ের ভিত্তিতে ভেদাভেদ হলে সংবিধানের শপথ নিয়ে বলছি, বরদাস্ত করব না। বরদাস্ত করব না। যত ইচ্ছে শক্তি প্রয়োগ করুন।''


আরও একবার কানহাইয়ার মুখে উঠে এসেছে 'আজাদি'র স্লোগান। সিপিআই নেতা বলেন, তোমরা গুলামি করো আমরা আজাদির পক্ষে। ইংরেজদের মতো ডিভাইড অ্যান্ড রুল করার চেষ্টায় ওরা।  তোমরা ইংরেজ হলে আমরা সুভাষচন্দ্র বোস হতে রাজি।''


ওই আলোচনাসভাতেই সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেছেন,''দেশপ্রেমের নামে বিজেপি ধরে ধরে লোকজনকে বলছে, ভারত মাতা কি জয়। সুভাষচন্দ্র বসু আবিদ সাফরানিকে ডেকে বলেছিলেন, এমন একটা স্লোগান বলুন যাতে সবাইকে একসূত্রে গাঁথতে পারে। ভাষা, ধর্মের বিভেদ যাতে না থাকে। একটা নিরপেক্ষ স্লোগান হোক। তৈরি হল জয় হিন্দ। জয় হিন্দ মিলিয়ে দিল পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ ভারতকে। জয় হিন্দ ওদের স্লোগান নয়। ভগত সিং বটুকেশ্বর দত্ত বলেছিলেন, ইনকিলাব জিন্দাবাদ।''


আরও পড়ুন- বদলাচ্ছে দেশ, শুরু হচ্ছে বিশ্বের উচ্চতম-দ্বিতীয় বৃহত্তম ভারতীয় টেলিস্কোপ