নিজস্ব প্রতিবেদন: আর পাঁচজন বন্দির সঙ্গে রাখা হবে না কওসর আলিকে। খাগড়াগড়কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডের জন্য পৃথক সেলের ব্যবস্থা হচ্ছে প্রেসিডেন্সিতে। জেএমবি জঙ্গির নজরদারিতে দিনরাত মোতায়েন থাকছেন চার নিরাপত্তারক্ষী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড কওসর আলি।  দিনকয়েক আগেই জেএমবি চাঁইকে হেফাজতে পেয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না তদন্তকারীরা। কারণ, কওসরকে জেরা করে সন্ত্রাসী জালের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলে ধারণা এনআইএ-র। সে জন্য প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে কওসরের জন্য বিশেষ সেল। সেলের বাইরে ৪জন করে নিরাপত্তা রক্ষী। তিনটি শিফটে ২৪ ঘণ্টাই নিরাপত্তারক্ষীরা কওসরের ওপর নজরদারি চালাবেন। সেলের বারান্দায় লাগানো হচ্ছে নজরদারি ক্যামেরা। নজরদারি ক্যামেরার মাধ্যমে প্রতি মুহূর্তে কওসরের ওপর চলবে নজরদারি।


নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে পালানো ইতিহাস রয়েছে জেএমবি জঙ্গির। সে কারণে অতিরিক্ত সতর্ক তদন্তকারীরা। ২০১৪-র ফেব্রুয়ারিতে  ময়মনসিংয়ের কাশিমপুর আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে প্রিজন ভ্যান থেকে কওসরকে ছিনতাই করে সঙ্গীরা। জঙ্গি-পুলিস সংঘর্ষে প্রাণ যায় ১ পুলিস কর্মীর। ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ ঘটায় কওসর। তাই, কওসরের নিরাপত্তায় বিন্দুমাত্র ফাঁক রাখতে রাজি নয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।সংশোধনাগারের ওয়াচ টাওয়ার থেকে দূরবীনের মাধ্যমেও জেএমবি জঙ্গির সেলে চলছে বিশেষ নজরদারি।


আরও পড়ুন- রেলস্টেশনে মাগনার ওয়াইফাই ব্যবহারে শীর্ষে হাওড়া, দ্বিতীয় স্থানে শিয়ালদহ