নিজস্ব প্রতিবেদন: কসবা কাণ্ডের তদন্তভার নিল ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট। কলকাতা পুলিসের অ্যান্টি ফ্রড সেকশনের হাতে গেল এই প্রতারণা কাণ্ডের তদন্তের বিষয়টি। কলকাতার বাইরে ও কলকাতার মধ্যে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করতেন ধৃত দেবাঞ্জন দেব। পুলিসের দাবি, নিজের প্রভাব প্রতিপত্তি দেখাতেই বিভিন্ন জায়গায় ভ্যাকসিনেসন ক্যাম্পের আয়োজন করত সে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খোদ রাজ্য সরকার যেখানে ভ্যাকসিনের অভাবের কথা বলছে সেখানে প্রতারক দেবাঞ্জন দেব ভ্যাকসিন পেল কীভাবে। পাশাপাশি, আদৌ কি ওইসব ভ্য়াকসিন আসল? নাকি ভ্যাকসিনের পরিবর্তে ভায়ালে ছিল অন্যকিছু। এরপর রাতভর ভুয়ো IAS অফিসারকে জেরা করে ইতিমধ্যেই বেশকিছু তথ্য উঠে এসেছে। 


আরও পড়ুন, ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এলেন মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা


তদন্ত নেমে ভ্যাকসিন(Covid Vaccine) ক্যাম্পে দেওয়া টিকার ভায়াল সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করতে পাঠাল পুলিস। ওইসব ভায়াল পাঠানো হচ্ছে ড্রাগ কন্ট্রোলের কাছে। জানার চেষ্টা হচ্ছে, ওইসব ভায়ালে আসলে করোনার টিকা ছিল নাকি অন্যকিছু। ক্যাম্প থেকে কিছু খালি ভায়াল ও বেশকিছু ব্যবহার না হওয়া ভায়াল উদ্ধার হয়েছে।


ক্যাম্প ছাড়াও আর কোথায় কোথায় কী কী জালিয়াতির কাণ্ড ঘটিয়েছে তা জানিয়ে তদন্ত করছে পুলিস। প্রসঙ্গত, বুধবার সকালেই কসবা এলাকা থেকে ভুয়ো IAS পরিচয় দেওয়া এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিস। এরপরই প্রকাশ্যে আসে যে এই প্রতারকের খপ্পরে পড়েছিলেন সাংসদ মিমি। 


এদিকে, কলকাতায় ভুয়ো ভ্যাকসিনেসন ক্যাম্পের বিষয়টি সামনে আসতেই তৎপর কলকাতা পুরসভা। কারা কারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন ওই ক্যাম্পগুলি থেকে তৈরি করা হচ্ছে সেই তালিকা। অন্যদিকে, বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ তোপ দেগেছেন এই বিষয়ে। তাঁর বক্তব্য, শুধু দেবাঞ্জন নয়, ভ্যাকসিন সিন্ডিকেটে জড়িত অনেকেই।