নিজস্ব প্রতিবেদন: খাগড়াকাণ্ডে ১৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। ৩০ অগাস্ট সাজা ঘোষণা করবে বিশেষ এনআইএ আদালত। খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে এখনও ধাপে ধাপে ৩১ জনকে গ্রেফতার করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এআইএ)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খাগড়াগড়কাণ্ডে যুক্ত ১৯জন আদালতে আবেদন করেছিল। ওই আবেদনে নিজেদের দোষ স্বীকার করে তারা। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ও ইউএপিএ আইনে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার ১৯জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন এনআইএ আদালতের  বিচারক। ৩০ অগাস্ট সাজা ঘোষণা করবে আদালত। খাগড়াগড়কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ধাপে ধাপে ৩১জনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। 



অষ্টমীর দিন দুপুরে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বর্ধমানের খাগড়াগড়। প্রকাশ্যে আসে এরাজ্যে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি-জঙ্গি নেটওয়ার্কের  জাল। জেলা পুলিস সিআইডি হয়ে তদন্তভার  হাতে যায় এনআইএ-র। গ্রেফতার করা হয় ৩১জনকে। চার্জশিটের পর ৩১জনের বিচার শুরু হয়। তারমধ্যে আব্দুল হাকিম-সহ ১৯ অভিযুক্ত আদালতের সামনে দোষ স্বীকার করে নেয়।


২৩ অগাস্ট আবেদনের শুনানি হয়, গুলশন আরা বিবি, আলিমা বিবি-সহ ১৯জনকে কাঠগড়ায় তোলা হয়। প্রত্যেকের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তাঁরা কারও প্ররোচনায় দোষ স্বীকার করছেন কিনা। অভিযুক্তরা জানান, তাঁরা কারও প্ররোচনা ছাড়াই দোষ স্বীকার করছেন। এরপরই ১৯জনকে দোষী সাব্যস্ত করে এনআইএ-র বিশেষ আদালত। বাকি ১২ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা চলবে, যতদিন না তারা দোষী সাব্যস্ত হচ্ছে। সূত্রের খবর, ১৯জন দোষ স্বীকার করলেও, এখনও খাগড়াগড় বিস্ফোরণের মূল মাথা বোমা মিজান ওরফে কওসর, কদর গাজি, ডালিম শেখ, ইউসুফ শেখরা দোষ স্বীকার করেনি। তাদের বিরুদ্ধে বিচার চলবে।


আরও পড়ুন- 'আমাকে খুন করলে আমি মিষ্টি খাওয়াবো নাকি? ঘাড় মটকে দেব'