নিজস্ব প্রতিবেদন: খিদিরপুরে একইসঙ্গে তিন ভাইবোনের মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুক্রবার 49/5/H/146 কার্ল মার্কস সরণি রোডের বাড়ি থেকে প্রথমে দুই ভাইয়ের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিস। অসুস্থ অবস্থায় তাঁদের বোনকে উদ্ধার করে এসএসকেএম-এ নিয়ে গেলে, তারপর সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে পরিবারের তিনজনের মৃত্যুতে ধোঁয়াশা ছড়িয়েছে। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দে পুলিস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, শ্বাসরোধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে তিন ভাই-বোনের। এ দিন ঘটনাস্থল পরীক্ষা করতে গিয়ে একটি জেনারেটর দেখতে পান তাঁরা। পাশাপাশি ঘরে মজুত ছিল প্রচুর মশার ধূপও। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জেনারেটর থেকে কার্বন মনোক্সাইড ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা ঘরে। এদিকে ধোঁয়া বেরনোর কোনও ব্যবস্থা না থাকায়, সারারাত অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড জমার কারণে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলেই অনুমান তদন্তকারীদের। জানা গিয়েছে, সোমবার মিটার বক্সে আগুন লাগায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করে দেওয়া হয়। এরপর জেনারেটর ভাড়া করেই বাড়ির আলো পাখা চলছিল। 



ঘটনায় প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বুধবার ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরচ্ছিল। বৃহস্পতিবার তা আরও প্রকট হয়। শুক্রবার সকালে গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে ওই বাড়িতে পৌঁছন তাঁরা। বিপদের আশঙ্কায় তাঁরা সাউথ পোর্ট থানায় খবর দেন। পুলিস গিয়ে ওই বাড়ি থেকে দুই ভাইয়ের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। পাশেই বিছানায় পড়েছিলেন তাঁদের অসুস্থ বোন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।


আরও পড়ুন: খিদিরপুরে একই বাড়িতে তিন ভাই-বোনের রহস্যমৃত্যু, উদ্ধার পচাগলা দেহ


প্রাথমিক ভাবে খুনের সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। আত্মহত্যার সপক্ষেও তেমন কোনও প্রমাণ পায়নি পুলিস। জেনারেটর গ্যাস জমে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যুতেই জোর দিচ্ছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। তবে সবটাই প্রাথমিক অনুমান। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।