মৈত্রায়ী ভট্টাচার্য: নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান শেষে, হোটেলে ফিরে হঠাৎ অসুস্থ। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় সঙ্গীত শিল্পী কেকে-কে (KK)। কলকাতার এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে তাঁর ময়নাতদন্ত হয়। সূত্রের খবর, হার্ট অ্যাটাকেই শিল্পীর মৃত্যু হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটা টিম তৈরি হয়। ময়নাতদন্ত করেন ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা। এছাড়াও ময়নাতদন্তে সহযোগীতার জন্য উপস্থিত ছিলেন অ্যানাটমি, প্যাথলজি, কার্ডিওথোরাসিক, কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকেরা। পুরো ময়নাতদন্ত পরিচালিত হয় অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্বাবধানে। সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের জন্য হৃদযন্ত্রে ক্যাথেটার ঢুকিয়ে দেখা হয়। অনেকগুলো ছোট ছোট ব্লক দেখতে পাওয়া যায়। যার মধ্যে বাঁ দিকের আর্টারিতে একটা বড় ব্লক ছিল। সেটার প্রায় ৭০ শতাংশই ব্লক ছিল। চিকিৎকদের অনুমান, গ্র্যান্ড হোটেলেই কেকে'র হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। প্রচুর দৌড় ঝাঁপের কারণে লিফ্টের মধ্যে ব্লকের পরিমাণ বেড়ে যায়। হৃদযন্ত্রের চলাচল অনিয়মত হয়ে পড়ে। ফলে অজ্ঞান হয়ে যান সঙ্গীত শিল্পী। এরপরই হৃদযন্ত্রে কাজ করা বন্ধ হয়ে যায়। যদিও একাংশের মত, যদি সঠিক সময়ে সিপিআর (Cardiopulmonary resuscitation)-এর ব্যবস্থা করা যেত, তাহলে হয়ত শিল্পীকে বাঁচানো যেত। 


ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে কেকে-র মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, 'মায়োকার্ডিয়াল ইনফারকশন' (Myocardial infarction)। 


 কী এই 'মায়োকার্ডিয়াল ইনফারকশন'?


ডাক্তারি পরিভাষায় যা 'মায়োকার্ডিয়াল ইনফারকশন', চলতি কথায় তাকেই আমরা বলি 'হার্ট অ্যাটাক'। হার্টের পাম্পিং ফেল করে যায়। অর্থাৎ কেকে-র মৃত্যুর পিছনে কোনও 'অন্য' কারণ নেই বলেই উল্লেখ প্রাথমিক রিপোর্টে। প্রসঙ্গত, গায়ক কেকে-র মৃত্যু ঘটনায় 'অস্বাভাবিক মৃত্যু'র মামলা রুজু করে নিউমার্কেট থানা। শুরু করে তদন্ত। এসএসকেএম হাসপাতালে কেকে-র মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)