নিজস্ব প্রতিবেদন: ' কলকাতায় সংক্রমণ বেড়েছে'। জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Mayor Firhad Hakim)। শহরে ফের সেফ হোম (Safe Home), এমনকী কনটেনমেন্ট জোন-ও (Containment Zone) চালু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা (KMC)। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কলকাতায় করোনা (Covid 19) বাড়বাড়ন্ত! দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ছুঁইছুঁই। ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্ত আরও ৫। পজিটিভি রেট? ১২ শতাংশ বলে উল্লেখ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিনে। কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হবে? যেদিন বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্য়ের স্বাস্থ্যসচিব-সহ পদস্থ স্বাস্থ্যকর্তারা, সেদিন বৈঠক হল কলকাতায় পুরসভায়ও। 


কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বৈঠকে? মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, 'কলকাতায় ৮০ শতাংশই উপসর্গহীন। ১৭ শতাংশের সামান্য উপসর্গ রয়েছে। মাত্র ৩ শতাংশ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একটা ঘরে হয়তো ৬-৭ জন থাকেন, তাঁদের তো আইসোলেশনের দরকার হয়। আমাদের প্রতিদিনের যে সেফ হোমটা আছে, সেটা চালু করছি। পরিকাঠামো ঠিকঠাক করে নিয়ে সোমবার থেকেই চালু করা হবে। আর যদি আমরা দেখি, কোনও বাড়ি বা আবাসনে ৫-৬ টা কেস হচ্ছে, সেটাকে আমরা কনটেন্টমেন্ট জোন করব। রিপোর্ট আসার পর'।


আরও পড়ুন: Covid in Kolkata: 'আগামী ১ মাস সঙ্কটজনক, বেড বাড়ান', বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ স্বাস্থ্যসচিবের


বর্ষশেষে উৎসবের মরশুমে শহরের রাস্তা ভিড় সামাল দিতে তৎপর কলকাতা পুরসভা। মিউ মার্কেট এলাকায় যখন রীতিমতো মাইকিং চলছে, তখন আবার কোভিড আক্রান্ত খোদ  মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার, এমনকী মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ঘরের কর্মরত আরও এক ব্যক্তি। শহরবাসীদের মেয়রের পরামর্শ,  'এখন যেহেতু একেবারেই উপসর্গহীন, তাই যেদিন টেস্ট করালেন, তার ৫ দিন আবার আমরা টেস্ট করব। কেউ যদি মনে করে, জ্বর ছিল, গায়ে ব্য়থা ছিল। কিন্তু এখন সুস্থ হয়ে গিয়েছে। তাহলে পুরসভাকে ডেকে টেস্ট করিয়ে নিতে পারেন। ৫ দিন আবার টেস্ট হবে। রিপোর্ট যদি নেগেটিভ চলে আসে, তাহলে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবেন। ৩-৪ দিন রেস্ট নিয়ে কাজেও ফিরতে পারবেন। আমাদের পুরসভা যেসব কর্মীদেরও বলছি, ৫ দিনের মধ্যে টেস্ট করে নিন। যদি রিপোর্ট নেগেটিভ আসে তাহলে কাজ যোগ দিন'।


আরও পড়ুন: Kolkata Omicron: উদ্বেগ বাড়িয়ে কলকাতায় ওমিক্রন আক্রান্ত আরও ৫, রাজ্যে বেড়ে ১৬


এদিকে বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নির্দেশ দিয়েছেন, 'আগামী ১ মাস সঙ্কটজনক। অবিলম্বে প্রথম ফেজের মতো বেড সংখ্যা বাড়ান। ওষুধ, অক্সিজেন মজুত করুন। প্রয়োজনে স্বাস্থ্য দফতরের সাহায্য নিন। যে সব হাসপাতালে কোভিড টেস্ট হয়, কোন এলাকা থেকে তাদের কাছে বেশি কেস আসছে, সেটা জানান। উপসর্গহীনদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিন। গুরুতর বা আশঙ্কাজনক রোগীদের জন্য বেড খালি রাখুন'।