নিজস্ব প্রতিবেদন : আগামিকাল সোমবার থেকে সাঁতার বন্ধ কলেজ স্কোয়্যারে। এদিন সকালে কলেজ স্কোয়্যারে সাঁতার শিখতে নেমে জলে ডুবে মৃত্য়ু হয় এক কিশোরের। আর তারপরই কড়া সিদ্ধান্তের পথে হাঁটল কলকাতা পুরসভা। কলেজ স্কোয়্যারে সাঁতার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বেঙ্গল সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেবাশিষ কুমার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


জি ২৪ ঘণ্টাকে ফোনে তিনি জানান, কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটল, তা তদন্ত সাপেক্ষ। তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কলেজ স্কোয়্যারে সাঁতার বন্ধ থাকবে। সমস্ত ক্লাবগুলিকে এই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, কলেজ স্কোয়্যারে সাঁতারের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে ৭টি ক্লাব। তার প্রত্যেকটিকেই সাঁতার প্রশিক্ষণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।


প্রসঙ্গত, ২ বছর আগে ২০১৭-তে কলেজ স্কোয়্যারে সাঁতার কাটতে গিয়ে মৃত্যু হয় কাজল দত্ত নামে এক জাতীয় স্তরের সাঁতারুর। সেইসময় তদন্তে দেখা যায়, পুলের জলের তলায় অবৈধভাবে বেশকিছু সিমেন্টের স্ল্যাব নির্মাণ করেছে সুইমিং ক্লাবগুলি। দুর্ঘটনা এড়াতে সেগুলিকে তখন ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি, সাঁতার কাটার সময় সতর্ক থাকতে বলা হয় অ্যাসোসিয়েশনগুলিকে। কড়া নজর রাখতে বলা হয়।


দেবাশিষ কুমার বলেন, এরপর গত বছর সমস্ত সুইমিং ক্লাব আচরণবিধিতে সই করেছিল। দুর্ঘটনা এড়াতে সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনগুলিকে বেশকিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও কী করে এই ঘটনা ঘটল? তা জানতে চাওয়া হবে। সেইসব নির্দেশ তারা মানছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। কোনওরকম গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না বলে সাফ জানান তিনি।


অন্যদিকে জানা গিয়েছে, নবম শ্রেণির ছাত্র মহম্মদ শাহবাজ নামে ওই কিশোর এক মাস আগে সাঁতার শিখতে ভর্তি হয়েছিল। আজ সকাল ৮ টা নাগাদ কলেজ স্কোয়্যারে সাঁতার কাটতে আসে সে। এর কিছুপরই তলিয়ে যায় সে। এই ঘটনায় সুইমিং অ্যাসোসিয়শনগুলির বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।


আরও পড়ুন, কলেজ স্কোয়্যারে ফের অঘটন! সাঁতার শিখতে নেমে ডুবে মৃত্যু কিশোরের, নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন


যদিও সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের পাল্টা অভিযোগ, প্রশিক্ষকের কথা শুনছিল না শাহবাজ। অন্যদের অনুশীলন করানোর সময় বড় পুলের গভীর জলে ঝাঁপ দেয় সে। প্রশিক্ষকের বারণ না শোনাতেই বিপত্তি ঘটে। তলিয়ে যায় ওই কিশোর। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।