নিজস্ব প্রতিবেদন:  নয়া প্রকল্প ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কাজ শুরু করে দিল কলকাতা পুরসভা। 'দুয়ারে দুয়ারে সরকার' প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য ১০ জনের টিম তৈরি করা হয়েছে। নির্দিষ্ট এলাকায় ক্যাম্প অফিসে বসবেন টিমের সদস্যরা। সরকারের যে কাজ আটকে রয়েছে, তা করে দেবে পুরসভা। জানালেন পুর ও নগরোয়ন্ননমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিকে আবার কোন সরকারি প্রকল্পে কী সুবিধা পাওয়া যাবে, শনিবার থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে তা বোঝানোর কাজে নেমে পড়লেন শিক্ষকরা।

 


 

উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে জেলা সফরে বাঁকুড়া গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খাতড়ায় প্রশাসনিক জনসভা থেকে নয়া প্রকল্পের ঘোষণা করেন তিনি। প্রকল্পের নাম 'দুয়ারে দুয়ারে সরকার'। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ১  ডিসেম্বর থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত এই প্রকল্পের কাজ চলবে রাজ্যে। প্রতিদিন বেলা ১২-১ টা থেকে বেলা ৩টে পর্যন্ত রাজ্য়ের ব্লকে ব্লকে প্রশাসনের ক্যাম্প অফিস করা হবে। কেন?  ক্যাম্প অফিসে গিয়ে প্রশাসনের কাছে নিজেদের অভাব-অভিযোগ জানাবেন সাধারণ মানুষ। সঙ্গে সঙ্গে মিলবে সমাধানও। আর যদি তখনই সমস্যা মেটানোর সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে তালিকা তৈরি করে রাখতে হবে। প্রশাসনের হয়ে কলকাতায় 'দুয়ারে দুয়ারে সরকার' প্রকল্পের কাজ শুরু করতে চলেছে পুরসভা।

 


 

এদিকে আবার শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর অশান্তি ছড়িয়েছে তাঁর খাসতালুক পূর্ব মেদিনীপুরে। রাতের অন্ধকারে খেজুরির পাটনা, কণ্টীবাড়ি এলাকায় তৃণমূলের পার্টি অফিস 'দখল' করে  নেয় বিজেপি। পার্টি অফিস থেকে দলের পতাকা বের করে ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই জায়গায় লাগিয়ে দেওয়া হয় বিজেপির পতাকা। শনিবার কলকাতায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পুর ও নগরোয়ন্ননমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'গুন্ডাগিরি এখানে চলে না। খেজুরিতে লাফালাফি হচ্ছে। বাংলার মানুষ সহনশীল। মানুষই আবার পার্টি অফিস ফিরিয়ে আনবে।' ফিরহাদের আরও বক্তব্য, 'বাংলার হৃদয়ে মমতার নাম রয়েছে। কোনও কট্টরপন্থী মিম আর আরএসএস সেই নাম মুছে দিতে পারবে না।'