নিজস্ব প্রতিবেদন : শ্রীরামকৃষ্ণের ডেথ সার্টিফিকেট এবার তুলে দেওয়া হল বেলুড় মঠের হাতে। আজ কলকাতা পুরসভা আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেবে এই নথি। আসল ডেথ রেজিস্টার দেওয়া সম্ভব নয়। তাই অবিকল রেপ্লিকা তৈরি করা হয়। সেটাই তুলে দেওয়া হল বেলুড় মঠের হাতে। গলায় ক্যানসার নিয়ে ১৮৮৬ সালের ১৫ অগাস্ট ইহলোক ত্যাগ করেছিলেন শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


১৫ অগাস্টের মধ্যরাতেই কি প্রয়াত হন শ্রীরামকৃষ্ণ? দ্বিমত একটা ছিলই। সেখানে আপাতত ইতি। কারণ, কলকাতা পুরসভা তাদের শ্মশানঘাটের একটি ঐতিহাসিক রেজিস্টার থেকে শ্রী রামকৃষ্ণ-এর দেহাবসানের নথিপত্রের ছবি বেলুড়ের সংগ্রহশালায় দান করতে চলেছেন। এখন শ্মশানের খাতা তো আর ভুল বলবে না। সেখানে ৯৫০ নম্বর এন্ট্রিতে লেখা,  রাম কিষ্টো প্রমোহংশ। ৪৯ কাশিপুর রোড, বয়স ৫২। মৃত্যু তারিখ ১৫ আগস্ট ১৮৮৬।



শ্রীরামকৃষ্ণ লীলামৃত বইতে ভক্ত বৈকুণ্ঠনাথ সান্যাল লিখেছেন, "আগস্ট মাসে ঠাকুর বললেন, ইচ্ছে হয় ইজের পরে ডিশবাটিতে খাই। সেই মতো ব্যবস্থা হওয়ায় প্রভু খুব আনন্দ করলেন। এই সময় আসন্ন দেহত্যাগের আশঙ্কা বুঝতে পেরে ঠাকুর তাঁর সহধর্মিণীকে বলেছিলেন, তুমি কামারপুকুরে থাকবে, শাক বুনবে। শাকভাত খাবে আর হরিনাম করবে। কারও কাছে একটি পয়সার জন্য চিতহাত কোরো না, তোমার মোটা ভাতকাপড়ের অভাব হবে না।"


আরও পড়ুন, জ্যোতির জন্মদিনের আগেই স্মারক মিউজিয়ামের জমি হাতে পাবেন বামেরা, আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর


অবশেষে সমাপ্তির সেই দিন। ঠাকুরের সেই ডেথ সার্টিফিকেট অনেকদিন থেকেই পুরসভার কাছে চাইছিল বেলুড় মঠ। কিন্তু আসল ডেথ রেজিস্টার কোনওভাবেই দেওয়া সম্ভব নয়। তাই তৈরি অবিকল রেপ্লিকা।