নিজস্ব প্রতিবেদন: আশঙ্কাই সত্যি হল। কালীপুজোর রাতে বাজির ধোঁয়ায় দূষণের রাজধানীতে পরিণত হল শহর কলকাতা। মঙ্গলবার রাত ১১টায় কলকাতা ছিল বিশ্বের সব থেকে দূষিত মহানগর। কলকাতায় মার্কিন দূতাবাসে থাকা দূষণ মাপনির তথ্য অনুসারে সেই সময় সেখানকার বাতাসে ভাসমান ধূলিকনা PM 2.5-এর পরিমান ছিল ৬৭০।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দূষণ রুখতে দীপাবলিতে বাজি ফাটানোয় নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার পরও শহরের বাতাসকে বিষ হওয়া থেকে রোখা গেল না। রোখা গেল না বায়ুদূষণ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে মঙ্গল ও বুধবার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ফাটানো যাবে বাজি। তবে সেই নিষেধাজ্ঞাকে ক্যাচকলা দেখিয়ে বাজি ফেটেছে প্রায় গোটা রাত জুড়েই। আর তাতেই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয় গোটা শহরজুড়ে। 



মঙ্গলবার রাতে বাজি ফাটানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হতেই কলকাতায় চরমে পৌঁছয় দূষণ। মার্কিন দূতাবাসে থাকা দূষণ মাপার যন্ত্রের তথ্য অনুসারে সেই সময় মধ্য কলকাতায় বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা PM 2.5-এর পরিমান ছিল ৬৭০। যা নিরাপদ সীমার থেকে প্রায় ৭ গুণ বেশি। একই সময় বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা PM 10-এর পরিমান ছিল ৫০০। 


সকাল থেকে মেঘলা আকাশ, দীপাবলিতে বৃষ্টি!


তবে দূষণের এই মাত্রা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই লাফিয়ে কিছুটা নেমে যায়। যদিও তাতে রেহাই মেলেনি। বুধবার দুপুর ২টোতেও কলকাতার বাতাসে PM2.5-এর পরিমান ছিল ৩০৬। যা শ্বাস নেওয়া যোগ্য নিরাপদ সীমার থেকে প্রায় ৩ গুণ বেশি। 


কলকাতার থেকেও করুণ অবস্থা ছিল শিলিগুড়ি ও হাওড়ার। মঙ্গলবার রাতে শিলিগুড়িতে ভাসমান ধূলিকণার পরিমাণ ছিল ১,০০০-এর ওপরে। হাওড়ায় ছিল ১,০০০ ছুঁই ছুঁই।