Kolkata Containment Zone: আপনার এলাকা কি কনটেইনমেন্ট জোন? জেনে নিন Do`s and Dont`s
যদি কোনও অসুবিধা হয়, তাহলে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বা লোকাল থানায় যোগাযোগ করলে তাঁরা ব্যবস্থা করবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনার গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী কলকাতায়। একের পর এক আবাসনকে কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হচ্ছে। এদিন ইকবালপুরের আইডিয়াল টাওয়ারকে কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এই টাওয়ারের ৬৬ জন করোনা আক্রান্ত বলে জানা যাচ্ছে। টাওয়ারের সামনে পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। বাইরের লোক কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আবাসনে ঢোকার মুখেই বড় করে লেখা রয়েছে, "কনটেইনমেন্ট জোন এবং বহিরাগতের প্রবেশ নিষিদ্ধ।" প্রয়োজনীয় জিনিস ও খাবার-ওষুধ যদি কারও লাগে, তাহলে আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী ডেলিভারি বয়ের কাছ থেকে তা নিয়ে নির্দিষ্ট লোকের হাতে পৌঁছে দিচ্ছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কীসের ভিত্তিতে ও কীভাবে কলকাতা শহরে কনটেইনমেন্ট জোন করা হচ্ছে? সেখানে Do's and Dont's কী কী আছে?
## ধরা যাক, একটি বড় আবাসনে বা একটি টাওয়ারে কিংবা কোনও ফ্ল্যাটের একটি তলায় ৫ জনের বেশি ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, সেক্ষেত্রে ওই টাওয়ার বা ওই আবাসনের বাইরে পুলিস অথবা পুরসভা অথবা ওই হাউজিংয়ের ম্যানেজিং বোর্ড একটি নোটিস টাঙিয়ে দেবে। যাতে ওই জায়গায় বাইরের থেকে আর কেউ প্রবেশ না করে।
## তবে ওই আবাসনে অন্য যাঁরা বাসিন্দা রয়েছেন, তাঁদের বাইরে বেরনোতে অবশ্য কোনও বাধা নেই।
## আক্রান্তদের পরিবারকে খাবারদাবার সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস আবাসনের ম্যানেজিং কমিটি কিংবা সিকিউরিটি গার্ড যোগান দেবেন।
## তাতেও যদি কোনও অসুবিধা হয়, তাহলে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বা লোকাল থানায় যোগাযোগ করলে তাঁরা ব্যবস্থা করবেন।
## কোনও এলাকার ক্ষেত্রেও প্রশাসন ওই এলাকার বাইরে একটি পোস্টার সাঁটিয়ে দেবে, যাতে বাইরের থেকে কোনও লোক ওই অঞ্চলে বা ওই নির্দিষ্ট জায়গায় প্রবেশ করতে না পারে।
## পুরসভার লোক গিয়ে ওই গোটা জায়গা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা স্যানিটাইজ করবে।
## পুলিস ও পুরসভা যৌথভাবে এলাকায় মাইকিং করে কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয় এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করবে। পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও মাইকিং করা হবে।
## অযথা ওই আবাসন বা টাওয়ার বা বাড়ির কেউ বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন কি না, নজরদারি চালাবে পুলিস।
## লিফটে স্যানিটাইজার রাখতে হবে। আবাসন, ফ্ল্যাট বা টাওয়ারে ঢোকা-বেরনোর সময় গেটে স্যানিটাইজার ও থার্মাল চেকিং রাখতে হবে।
আরও পড়ুন, করোনার বাড়বাড়ন্ত, বিধানসভায় সংক্রমণ রুখতে 'বড়' সিদ্ধান্ত