ওয়েব ডেস্ক: ত্রিফলা এবং নীল সাদা আলোর পাশাপাশি এবার কলকাতার বস্তিগুলিকেও সৌন্দর্যায়নের অংশীদার করছে কলকাতা পুরসভা। হাটগাছিয়াকে পাইলট প্রজেক্ট করে পাঁচটি বস্তিকে মডেল করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই সার্ভে কমপ্লিট করা হয়েছে। প্রজেক্ট রিপোর্ট জমা পড়বে নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে।


আরও পড়ুন- হাইটেনশন লাইনের বিপদ কাটাতে উদ্যোগ এসবিআই পার্ক সর্বজনীন ক্লাবের উদ্যোক্তাদের


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঝাঁ চকচকে বাইপাস ধরে ছুটে চলেছে একের পর এক গাড়ি। সেই ইএম বাইপাস ঘেঁষে গড়ে উঠছে আকাশচুম্বী প্রাসাদ থেকে স্কাই ওয়াক। অথচ শহর কলকাতার কথা বললেই তো মনের মধ্যে ভেসে ওঠে মধ্য, উত্তর আর দক্ষিণের বস্তি অঞ্চলের ছবিটাও।


নীল সাদা আলোর চেন, ত্রিফলা বাতির সারি, সুসজ্জিত বাস স্টপ- কলকাতার এই সব উজ্জ্বল ছবি কিন্তু  ম্লান করে দেয় বস্তি অঞ্চলের এই ধুসর ছবিটা। তখনই বস্তির সৌন্দর্যায়নের কথা মাথায় আসে মুখ্যমন্ত্রীর। কলকাতা পুরসভার সঙ্গে আলোচনার পর ঠিক হয়, যৌথভাবে বস্তির সৌন্দর্যায়নের কাজ করবে কলকাতা পুরসভা ও নগরোন্নয়ন দফতর। প্রকল্পের নাম, মডেল বস্তি।


কী কী রয়েছে মডেল বস্তিতে?


১)পর্যাপ্ত আলো ও পরিশ্রুত পানীয় জল।
২)প্রতি পরিবারের জন্য পৃথক শৌচাগার, ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থা।
৩)কংক্রিটের রাস্তা, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, কমিউনিটি হল।
৪)প্রাইমারি স্কুল এবং ভোকেশনাল ট্রেনিং স্কুল।
৫)পার্ক এবং খেলার মাঠ।

 


আরও পড়ুন- তৃণমূলে দলবাজি ও তোলাবাজি কোনওটাই চলবে না: কড়া বার্তা মমতার


২০১৫ সালে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে বাইপাস লাগোয়া মিলনমেলা ঘেঁষা হাটগাছিয়া বস্তিতে কাজও শুরু হয়ে যায়। কাজ এখন শেষের পথে। নতুন চেহারায় কলকাতার হাই রাইজগুলির সঙ্গে টক্কর দিচ্ছে হাটগাছিয়া। এই বস্তিতে মজে যাওয়া বড় পুকুরটাও পাল্টে গিয়েছে। বস্তিরই যুবকদের কাজে লাগিয়ে এখানে মাছ চাষ শুরু হয়েছে। সাজিয়ে তোলা হচ্ছে পুকুরের পাড়ও। খরচ হয়েছে সাড়ে ৩ কোটি টাকা। নগরোন্নয়ন দফতর দিয়েছে ৩ কোটি টাকা, বাকি ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছে পুরসভা।  


হাটগাছিয়া বস্তিকে সামনে রেখেই আরও পাঁচটি বস্তির সৌন্দর্যায়ন করা হবে।  


১)৩৫ নং ওয়ার্ডের মিঞা বাগান।
২)৩৬ নং ওয়ার্ডের ধর বাগান।
৩)৯০ নং ওয়ার্ডের পঞ্চাননতলা বস্তি।
৪)৯৪ নং ওয়ার্ডের ঝোড়ো বস্তি।
৫)১৩১ নং ওয়ার্ডের কোকলা বস্তি।