জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজ্যে হুহু করে বাড়ছে ডেঙ্গি। আক্রান্তের সংখ্যাও চিন্তা বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের। গত বছর যেখানে এ যাবৎ মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ৫৫২, এবছর সেই সংখ্যাই এক লাফে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪২৮৮ (যার মধ্যে অন্য রাজ্যের ৩৬ জন) তে। দুশ্চিন্তার বিষয় হল, চিরাচরিত ডেঙ্গি সংক্রমণের প্রবণতার বিপরীত ছবি দেখা যাচ্ছে এই বছরে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্তের দুই তৃতীয়াংশই গ্রামীণ এলাকায়। গত বছর অগাস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত মোট ডেঙ্গি আক্রান্ত ছিল- ১০১।  এবার সেই সংখ্যাটা  ৩৫৪।  ইতিমধ্যেই ডেঙ্গি সংত্রমণের তথ্য তুলে ধরে জেলাগুলিকে সতর্ক করেছে নবান্ন। বৃহস্পতিবারই স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। গোটা রাজ্যে প্রায় পাঁচশোর বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে রিপোর্ট করা হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Anubrata Mondal: ফের কেষ্ট যোগ! সিবিআই নজরে অনুব্রত-কন্যার রাইস মিল


 হাওড়ায় গত বছর এ পর্যন্ত মাত্র ১৯ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবছর সেই সংখ্যাটা ৬২০। উত্তরের জলপাইগুড়ি থেকে দক্ষিণে ডায়ামণ্ডহারবার (স্বাস্থ্যজেলা) পর্যন্ত মোট ১০ টি জেলার ডেঙ্গি কার্যত ঘুম ছুটিয়েছে স্বাস্থ্যকর্তাদের। চিন্তার বিষয় হল, আগামী দু’মাস ডেঙ্গির মরশুম, এখনই যদি গত বছরের তুলনায় সপ্তাহে প্রায় ১০ গুণ বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন, তাহলে আগামীদিনে কী হতে চলেছে? এমনকী  হাওড়ায় পুর এলাকায় ডেঙ্গিতে মৃত্যু এক যুবকের। মৃতের নাম মিলন রিত(২২)। হাওড়া পুরসভার ৪৯ নং ওয়ার্ডের ইছাপুর শিয়ালডাঙ্গা এলাকার ওই যুবক গত ১৪ ই আগস্ট জ্বরের উপসর্গ নিয়ে  ভর্তি হয় হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে।গত ১৫ ই আগস্ট সোমবার তার মৃত্যু হয়।


এই মরসুমে হাওড়া পুর এলাকায় এই প্রথম ডেঙ্গুতে আক্রান্তের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা যখন ক্রমেই বাড়ছে তখন এই মৃত্যুর ঘটনা আরো উদ্বেগ বাড়াল।ডেথ সটিফিকেটে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ থাকলেও জেলা স্বাস্থ্য দফতর অবশ্য ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর অস্বীকার করেছে।হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মন্ডলী চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানান, একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও ঠিক কী কারনে মৃত্যু তা খতিয়ে দেখতে হবে। তবে সুজয় বাবু জানান, গত তিন সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।বিশেষ করে উত্তর হাওড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।৪৯ নং ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা পুরসভার গাফিলতির অভিযোগ করেছেন।তিনি বলেন, মিলন রিত মারা যাবার পর পুরসভার টনক নড়ে।এলাকা পরিষ্কার ও নর্দমায় স্প্রে করা শুরু হয়।আগে থেকে পুরসভা সজাগ থাকলে এই ঘটনা ঘটত না।সুজয় চক্রবর্তী জানান ডেঙ্গি রোধে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।পুর এলাকার মানুষজনকে সচেতন করার জন্য প্রচার চালানো হচ্ছে নিয়মিত।


এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, আমি জানি ডেঙ্গু উদ্বেগজনক পরিস্থিতির তালিকায় যে ওয়ার্ড গুলোর নাম রয়েছে সেখানে  আমার ওয়ার্ড নাম রয়েছে। ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে  আমরা দেখি যেসকল ওয়ার্ডগুলোতে পুরোনো বদ্ধ বাড়ি যেগুলো রয়েছে সেইসব জায়গাগুলোতে, ওয়ার্ড গুলোতে ডেঙ্গুর প্রবণতা বেশি। যেসকল ওয়ার্ড এ খোলা মাঠ বা খোলা জায়গা রয়েছে সেই সকল জায়গায় কিন্তু ডেঙ্গুর প্রবণতা কম। মানুষ কোথাও কোথাও ফাঁকা কলসি, টায়ার  এসব ফেলে রাখছে এবং বেশিরভাগ পুরনো বাড়ির ছাদ গুলোতে জল জমছে এবং সেখান থেকেই এই প্রবণতা বাড়ছে। আমাদের টিম সব সময় নজর রাখছে প্রচার করছে সতর্ক রাখার চেষ্টা করছে মানুষকে। মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে।


আরও পড়ুন, Bengal Weather: মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস শহরে, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণের বিভিন্ন জেলায়


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)