অর্ণবাংশু নিয়োগী: রাজ্য পর্যাপ্ত পুলিস মোতায়েন করবে। যাতে অফিস সবাই ঢুকতে পারেন। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে হবে। ১৪৪ ধারা সুনিশ্চিত করতে হবে। করুণাময়ীতে টেট উত্তীর্ণদের অবস্থান বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে কড়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। পাশাপাশি, আদালত এও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল, টেট উত্তীর্ণদের অবস্থান বিক্ষোভের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দায়ের করা মামলার শুনানি রেগুলার বেঞ্চেই হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু তা খারিজ করে দিয়েছে আদালত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত এদিন আদালতে রাজ্য সরকার বলে, 'আমরা ওদের সরাতে পারিনি। মাইকিং করা হয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কিন্তু তারা কিছুই শুনছে না। আমরা সবরকমভাবে প্রস্তুত। আদালত নির্দেশ দিক। আনন্দলোক হাসপাতাল আছে ওখানে।' বোর্ডের তরফে সুবীর সান্যালও বলেন, 'আমরা প্রতিবাদের বিরুদ্ধে নই। শুধু আমাদের সঠিকভাবে কাজ করতে দেওয়া হোক!' যার পরিপ্রেক্ষিতেই আদালত পালটা প্রশ্ন ছোঁড়ে, 'পুলিস কি পাওয়ার লেস?' 


প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল সাংবাদিক বৈঠক করে স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে,  ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীদের দাবি আইনসম্মত নয়। অন্যায্য দাবি করছেন তাঁরা। ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে অনুরোধ করেন তিনি। পর্ষদ সভাপতি সাফ বলেন, ২০১৬ সালের নিয়োগ নীতি আইন মেনেই নিয়োগ করতে হবে। আজকে যারা নন-ইনক্লুডেড ক্যানডিডেট, তাঁরা পর পর দুবার ইন্টারভিউ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও তাঁরা এমপ্যানেলড হননি। এখন আইন মেনেই নিয়োগ করতে হবে। 


এমনকি তিনি এও বলেন যে, ২০১২ সাল থেকে টেট পাস সকল প্রার্থী যদি বয়স থেকে থাকে, তবে সবাই-ই নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আর ৪০ বছর বয়স হয়ে গিয়ে থাকলে, সেক্ষেত্রে বয়সসীমায় ছাড় দিলে তাঁরাও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। তবে সেই ছাড় দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। কিন্তু তারপরেও তাঁদের আন্দোলনে অনড় থাকেন বিক্ষোভকারীরা। পাশাপাশি অনড় পর্ষদ সভাপতিও।


আরও পড়ুন, Mamata Banerjee: 'আমি তো চাই কারও চাকরি যেন না যায়'


তাঁরও সাফ বক্তব্য, তিনি নিয়ম ভাঙতে পারবেন না। ওরা মনে করলে আদালতের নির্দেশ আনুন। নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ নেবেন না, অথচ নিয়োগ করতে হবে। এ জিনিস এনসিইটির আইনানুগ নয়, মেনে নেওয়া যায় না। এই আন্দোলনকে কোনওভাবেই গুরুত্ব দিতে রাজি নয় পর্ষদ। এদিকে চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ইন্টারভিউ ছাড়া-ই চাকরি দিতে হবে। অন্যদিকে, এদিন আবার পালটা করুণাময়ীতে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেন ২০১৭ টেট উত্তীর্ণরা। তাঁদের দাবি, ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের দাবি অনৈতিক। ইন্টারভিউ ছাড়া নিয়োগ নয়। সবাইকে ইন্টারভিউতে বসতে হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ নিতে হবে সবাইকে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)