নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা নিয়ে রাজ্য সরকারকে আরও নজর দিতে নির্দেশ দিল প্রধান বিচাররপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য আজ রিপোর্ট পেশ করে জানায় যে, ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন ৩০০-র কিছু বেশি টেস্ট করা হয়েছে। রাজ্যের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে এরপরই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ICMR-এর গাইডলাইন মেনে আরও বেশি টেস্ট করতে হবে। এই বিষয়ে আরও সতর্ক হতে হবে। করোনা মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নামতে হবে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মোট ৯ পাতার রায়ে যে যে বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, একনজরে-


১) করোনা চিকিৎসা এবং প্রতিরোধে WHO এবং ICMR-এর গাইডলাইন নির্দিষ্টভাবে মেনে চলতে হবে রাজ্য এবং সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে। 
২) যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাড়াতে হবে টেস্টের সংখ্যা। 
৩) মামলাকারী এবং রাজ্য কেউই গোষ্ঠী সংক্রমণ নিয়ে কিছু না বললেও এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অবিলম্বে এটা আটকাতে হবে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় স্ক্রিনিং করতে হবে। 
৪) চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষিত রাখতে হবে।
৫) আদালত না চাইলেও নির্দিষ্ট সময় পর পর রিপোর্ট জমা দিতে হবে। 
৬) মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে রাজ্যের বিরোধিতা এখন বিচার করার সময় নয়। COVID-19 জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গরিব, বড়লোক কিছু দেখে না। তাই এই মামলা আদালতের চৌকাঠ থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া যাবে না।


প্রসঙ্গত, সিপিআইএম নেতা ড. ফুয়াদ হালিম জনস্বার্থ মামলাটি করেন। এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের আইনজীবী আদালতের কাছে দাবি করেন, রাজনৈতিক পরিচয় গোপন করে মামলাটি করেছেন ফুয়াদ হালিম। তাই এটি জনস্বার্থ মামলা-ই নয়। তবে সেই যুক্তি মেনে নেননি প্রধান বিচারপতি।


আরও পড়ুন, করোনার হটস্পট, সিল করা হল পূর্ব কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা